কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী গ্র্যাজুয়েট এবং সংস্থাপন শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হেলাল উদ্দীনকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করবেন। ২১ আগস্ট ২০২৪ ভাইস-চ্যান্সেলর (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আদেশক্রমে বাকৃবির সংস্থাপন শাখার এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায় ।
কৃষিবিদ ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন ১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম আব্দুল মান্নান ও মাতা মরহুমা আয়েশা খাতুন।
শিক্ষা জীবনে ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন ১৯৮৪ সনে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি এবং ১৯৮৬ সালে নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে এইচএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে ১৯৯১ সালে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি এজি এবং একই বিশ^বিদ্যালয় থেকে ২০০৩ সালে এমএস ইন এগ্রোনমী ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন ২০০৩ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার পরিষদ বিভাগে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সনে ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং ২০১২ সনে এডিশনাল রেজিস্ট্রার পদে উন্নীত হন।
ছাত্র জীবনে ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একজন সাহসী ও ত্যাগী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ন্যয়সঙ্গত দাবী আদায়ে সর্বদা সোচ্চার থাকতেন। ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন তার ছাত্র রাজনীতির সময়কালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (বাকসু ১৯৯০-৯১) এ বিপুল ভোটে বার্ষিকী সম্পাদক নির্বাচিত হোন এবং সে সময় তিনি সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাহসী ছাত্রনেতা হিসাবে তিনি ১৯৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ রিরোধী আন্দোলনের অগ্র সৈনিক ছিলেন। এছাড়াও তিনি পেশাজীবী সংগঠন এ্যাব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও তাঁর কর্মময় জীবনে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন । এখনও নিজ এলাকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে তাঁর সম্পৃক্ততা অব্যাহত রয়েছে যা সর্বমহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।
এছাড়া একজন পেশাজীবী নেতা হিসাবে তিনি দীর্ঘ ১৬ বছরের অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে সর্বদা সরব ছিলেন এবং ২০২৪ সালের এই আগস্ট মাসে বৈষম্য ও কোঠা বিরোধী এবং এক দফা স্বৈরাচার সরকার পতনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি অংশ গ্রহণ করে তিনি একাধিকবার সরকারী পেটোয়া বাহিনী কতৃক লাঞ্চিত হয়েছেন এবং বিভিন্ন মামলা-হামলার হুমকীর সম্মুখিন হয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন বিবাহিত এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক।