বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফজলুল হক হলে তিন দিনের ফিস্টকে ঘিরে চলছে উৎসবমুখর পরিবেশ। ফিস্ট উপলক্ষে হলের ভবনগুলোকে আলোকসজ্জা ও রঙিন চিত্রকর্মে সাজানো হয়েছে। নতুন রূপে সেজেছে হলটি, যা দেখতে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের মানুষজন ভীড় জমাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকাল থেকে ফিস্ট শুর হয়, যা শেষ হবে শনিবার (২৩ নভেম্বর)। নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হবে ৩ দিন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ফিস্টটি আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনের নাম দিয়েছেন "ফায়ারফর্গড ফিস্ট”।
শিক্ষার্থীরা জানান, ফিস্টের প্রথম দিন শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালি, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এবং আলপনা অঙ্কনের মধ্য দিয়ে, দ্বিতীয় দিন (২২ নভেম্বর) থাকছে ফ্ল্যাশমুভ, শিক্ষকদের অভ্যর্থনা ও ভুরিভোজের মতো আকর্ষণীয় কার্যক্রম। এছাড়া শেষ দিনে থাকবে রং খেলা, ট্রাক শোডাউন, যেমন খুশি তেমন নাচ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের অপরিচিত মানুষের সাথে এই ফিস্টের মাধ্যমে আত্মার সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব। সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। সবাই মিলে আনন্দ করব, এটাই প্রত্যাশা।”
আলিফ খান বলেন, “এই ক’টি দিন আমার জীবনের সেরা সময় পার করবো বলে মনে করছি। সবার সহযোগিতায় এই স্মরণীয় আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এটি আমাদের স্মৃতির পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে।”
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান বলেন, “ছোট ভাইদের এমন উৎসাহ ও সাংস্কৃতিক চর্চা দেখে খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন দেখতে চাই। এটি সবার মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করেছে।”
বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থী মো. তানিউল করিম জীম বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে হল একটি আবেগের নাম। এটি কেবল থাকার জায়গা নয় বরং দ্বিতীয় পরিবার। এই পরিবারে থাকে নানা ধরণের মানুষ—তাদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে শিখে যায় সবাই। হল জীবনে সিনিয়রদের ভালোবাসা ও শাসন যেমন থাকে, তেমনি থাকে জুনিয়রদের সম্মান ও ভালোবাসা।
ফজলুল হক হলের তিন দিনের ফিস্ট শুধু একটি উৎসব নয়, এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একসঙ্গে কাজ করা, আনন্দ ভাগাভাগি করা এবং স্মৃতির পাতা সমৃদ্ধ করার এ আয়োজন ভবিষ্যতে তাদের জীবনের এক বিশেষ অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই ফিস্টের উৎসবমুখর আয়োজন শিক্ষার্থীদের মনোজগতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং তাদের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করবে বলে আশা রাখি।