ইসলামিক ডেস্ক: রহমত, মাগফেরাত, নাজাত রমজানের তিনটি দশকের মধ্যে আমরা এখন শেষ দশক পার করছি। এই দশকেই রয়েছে মহিমান্বিত শবে কদর। "মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর" হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
বোখারী ও মুসলিম শরীফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সওয়াবের আশায় ইবাদত করবে তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। লাইলাতুল কদরে যেহেতু বান্দার দোয়া কবুল ও গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় তাই অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে একাগ্রচিত্তে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকতে হবে।
শবে কদরের তিনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এক. এই রাতে মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাজিল করা হয়েছে। দুই. শবেকদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। তিন. এই রাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম এবং একদল ফেরেশতা জমিনে অবতরণ করেন।
আরবি ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থ রাত। আর ‘কদরুন’ অর্থ সম্মানিত, মহিমান্বিত। সুতরাং লাইলাতুল কদরের অর্থ হলো সম্মানিত রাত বা মহিমান্বিত রাত। এই রাত সারা বছরের সমস্ত রাত অপেক্ষা সর্বাধিক মর্যাদাশীল ও বৈশিষ্ট্যম-িত। তাই এই রাতের নামকরণ করা হয়েছে, লাইলাতুল কদর।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন শবেকদর চলে আসে, তখন জিবরাইল (আ.) ও তার বাহিনী পুরো পৃথিবী ঘুরতে থাকেন। আর তখন যারা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে এই রাতে ইবাদত ও জিকির-আজকার করে, তাদের জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকেন।’ -(শুআবুল ইমান ৩৪৪৪)
মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এই মহিমান্বিত রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটানোর তাওফিক দান করুন।-আমিন