এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: হোসনে আরা ফাউন্ডেশন ও রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর যৌথ উদ্যোগে মীর আইয়ুব আলী বিদ্যা নিকেতনের সহযোগিতায় সমাজের অসচ্ছল, চাইতে পারেনা, এ ধরনের ব্যক্তিদের মাঝে ঈদের সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) আইয়ুব আলী বিদ্যা নিকেতনের সেমিনার কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর চার্টার্ড প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান হাসিবুল হাসান নান্নু এমপি এইচএফ । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারিয়ান ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ, প্রেসিডেন্ট রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল। সভাপতিত্ব করেন হোসনেয়ারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা নিকেতনের পরিচালক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম মিলন। অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের পরিচালক শামীমা আক্তার ও স্কুলের অধ্যক্ষ ।
প্রধান অতিথি রোটারিয়ান নান্নু বলেন, সমাজের অনেক ব্যক্তি যখন তার পরিবারের সদস্যদের একাধিক পোশাক কেনা হয়ে গেছে, তারপরেও কোনো কারণে অপছন্দ হলে বা কারো নতুন পোশাক দেখে আবেশিত হলে আরেকটি পোশাক কেনার জন্য বাজারে সময় ব্যয় করছেন। ঠিক সেই সময় আমরা এমন এক দল মানুষ নিয়ে আজকে এই আয়োজন করছি যারা আমাদেরই পাশে থেকে নতুন পোশাক তো দূরের কথা ভালো খাবার খেতে পান না। আমাদের আজকের এই আয়োজন এই সকল মানুষের মুখে সামান্য হাসি ফুটানোর উদ্যোগ। এই উদ্যোগ দেখে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন এবং বাড়ির পাশের অথবা নিজ বাসার কাজের লোক অথবা ড্রাইভার অথবা দারোয়ান, যাদের ঈদ মানে কি তা তারা জানে না? তাদের তরে সামান্য হলেও সমবেদনা জ্ঞাপন করবেন এই প্রত্যাশা করি।
বিশেষ অতিথি ডঃ আরিফ বলেন, আজ হয়তো সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমরা এই জায়গায় অবস্থান করছি। আর আপনারা আপনাদের এই অবস্থানে আছেন। এই অবস্থায় থেকে যদি আমরা আমাদের অবস্থানের কৃতজ্ঞতা সৃষ্টিকর্তার কাছে না জানাই তবে জানিনা আমাদেরও আপনাদের অবস্থানে যেতে হতে পারে । আমাদের আপনাদেরকে কিছু প্রদানের জন্য গর্ব করার কিছু নেই। আপনাদেরও উচিত হবে সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সুযোগ প্রদান করলে অথবা আপনাদের চেয়ে যারা আরও পিছিয়ে পড়েছে তাদের জন্য হলেও কিছু প্রদান করা । তবেই সমাজের এই অসংলগ্নতা এবং ভেদাভেদ দূর হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কাজেই আসুন আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের জন্য নিজেদেরকে উৎসর্গ করি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মিলন বলেন, হোসনে আরা ফাউন্ডেশনের অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে এটি একটি সামান্য উদ্যোগ, এই বছর গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনাদের সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান আসুন আমাদের বয়স শেষ হওয়ার আগেই কর্মমুখর হওয়ার জন্য কিছু রেখে যায়, যেটি আমাদের শেষ বয়সে আমাদের অনুপ্রেরণা এবং কাজের জায়গা তৈরি করবে।