ইসলামিক ডেস্ক:প্রাণীকুল থেকে ফল ফসল সকলের জন্যই বৃষ্টি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্রমাগত গরমের দিশেহারা হতে যাচ্ছে আমাদের দেশের জনসাধারণ থেকে শুরু করে সকল প্রাণিকূল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষির সবকিছু, বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র। এ থেকে বাঁচার জন্য আসুন আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে বৃষ্টির জন্য দোয়া করি।
বৃষ্টির জন্য নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল। হজরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন একদিন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে কতিপয় লোক (বৃষ্টি না হওয়ায়) ক্রন্দনরত অবস্থায় এলে তিনি দোয়া করলেন-
‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিয়ান মারিআন নাফিআন গাইরা দাররিন আঝেলান গাইরা আঝেলিন।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো।’
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)।’ (আবু দাউদ ১১৬৯, ইবনু খুযাইমা ১৪১৬, মেশকাত ১৫০৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, এক বেদুইন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমি অবশ্যই এমন এক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছি যাদের রাখালদের পর্যাপ্ত আহারের সংস্থান নেই, এমনকি তারা তাদের চতুস্পদ জন্তুর বেঁচে থাকার আশাও ত্যাগ করেছে। তিনি (নবিজি) নামাজ পড়লেন এরপর মিম্বারে উঠে আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন, এরপর দোয়া করলেন-
‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিয়ান ত্ববাকান মারআন গাদাক্বান আঝেলান গাইরা রায়িছিন।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের সাহায্যকারী বৃষ্টির পানি দান করুন যা সুপেয়, পর্যাপ্ত, ফসল উৎপাদক, প্রচুর, অবলম্বনে, বিলম্বে নয়।’
মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে ফরিয়াদ জানান; তিনি যেন আমাদের দোয়া কবুল করেন; আমাদেরকে রক্ষা করেন।। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশক্তিমান এবং অসীম রহমত বর্ষণকারী।-আমিন।