ইসলামিক ডেস্ক: ইসলাম শান্তি-সস্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কোনরূপ সহিংসতা, বিবাদের স্থান ইসলামে নেই। সামান্যতম শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকে ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- ‘ফিৎনা-ফাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ।’ (সুরা বাকারা-১৯১)।
অমুসলিমদের সঙ্গে সদাচরণ ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা পবিত্র কোরআনের নির্দেশ। রসুল (সঃ) তার ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনে অমুসলিমদের সঙ্গে সহাবস্থানের বাস্তব নমুনা স্থাপন করে গেছেন। রসুল (সঃ) যে উদারতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সে আরোকে আমরা কতটাই সফল বা আমরা কতটাই সে নির্দেশনাগুলো মেনে চলছি?
ইসলামের শিক্ষা হলো, প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে, পরে ভালো মুসলমান। যিনি ভালো মুসলমান তিনি ভালো মানুষও বটে। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার পরস্পরকে ভালোবাসতে না পারা পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না।’
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের পছন্দ করেন।’ (সুরা আল মুমতাহিনা-৮)। আল্লাহ বলেন, ‘তারা আল্লাহ তায়ালার বদলে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি দিও না, নইলে তারাও শত্রুতার কারণে না জেনে আল্লাহ তায়ালাকেও গালি দেবে।’ (সূরা আনআম-১০৮)।
রসুল (সঃ) বলেন, ‘সাবধান! যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, তার ক্ষমতার বাইরে কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কেয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব।’ (আবু দাউদ)
ইসলাম মানুষকে ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষা দেয়। যারা নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারে তারাই ইসলামের দৃষ্টিতে সেরা মানুষ। পরের জন্য কিছু করার বাসনা জাগিয়ে তুলে ইসলাম। শুধু মুসলমানই নয়, ভিন্ন ধর্ম ও মতাবলম্বীদের প্রতিও সদাচরণ, উদারতা প্রদর্শন ইসলামের শিক্ষা। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সদাচরণ ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করার তাওফিক দিন আমিন।