ইসলামিক ডেস্ক: মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা ইত্যাদি ইত্যাদি। জীবন জীবিকার এসব ব্যয় মেটাতে আমাদেরকে কোন না কোন পেশায় যুক্ত হতে হয়। জীবন জীবিকা চালানোর জন্য আমাদেরকে অবশ্যই বৈধ পন্থায় উপার্জন করতে হবে। পবিত্র কোরআন এবং হাদীসে এ ব্যাপারে ব্যাপক হুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে যে পেশাগুল হারাম সেগুলি অবশ্যই বর্জন করতে হবে। অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য সুদি কারবার, ওজনে কম দেওয়া, ধোঁকা ও প্রতারণামূলক ব্যবসা, মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া ও চাকরি থেকে অবৈধ উপার্জন যেমন ঘুষ গ্রহণ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকার কথা ইসলাম বারবার বলেছে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি পৃথিবীর সব কিছু তোমাদের (ব্যবহারের জন্য) তৈরি করেছেন...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৯)
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘...তিনি (আল্লাহ) ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৫)
ব্যবসা-বাণিজ্যে মহানবী (সা.) পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। ৪০ বছর বয়সে নবী হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করার আগেও তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী।
পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহে ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্বের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে বিদেশ সফরে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...আর তোমরা দেখতে পাও, নৌযান পানির বুক চিরে চলাচল করছে, যেন তোমরা তার অনুগ্রহ (রিজিক) সন্ধান করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সুরা : আল ফাতির, আয়াত : ১২)
ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, রিজিকের ১০ অংশের ৯ অংশই ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে এবং এক অংশ গবাদি পশুর কাজে নিহিত। (আল জামিউস সাগির, হাদিস : ৩২৮১)
আসুন আমার দুনিয়ার মোহে বেশি জড়িয়ে অবৈধ আয়ের দিকে না ঝুঁকি। পরিবার পরিজন নিয়ে সৎ জীবনযাপন করি। নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল লামিন আমাদের রিজিক বহুগুণে বাড়িয়ে দিবেন।-আমিন