BLS-এর ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভা ও তারুণ্যের বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিজ আমিষের গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা, দোয়া এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির (বিএলএস) ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভা ও "তারুণ্যের বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিজ আমিষের গুরুত্ব" শীর্ষক আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল রাজশাহীর মাস্টারসেফ রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ইফতিখারুল আলম মাসউদ।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্স সুলতান ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ, সৌদি আরব-এর রোটারিয়ান প্রফেসর ড. সৈয়দ শাহ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ, ফাইন্যান্স বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষিবিদ ড. মো. ইসমাইল হক, উপ-পরিচালক, রাজশাহী দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামার, বিশেষ অতিথি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. সোরাব আলী, রাজশাহীর সাবেক জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) কৃষিবিদ খাইরুল আলম মিয়া, কৃষিবিদ আমিরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের প্রফেসর ড. রোকেয়া সুলতানা, ড জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সাবিনা সুলতানা, রোটারিয়ান ড. গোলাম মাওলা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সভাপতি রোটা. প্রফেসর ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, "তারুণ্যের শক্তি একটি জাতির উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। এই শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হলে প্রাণিজ আমিষের ভূমিকা অপরিসীম। প্রাণিজ আমিষ যেমন মাছ, মাংস, ডিম ও দুধে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের বৃদ্ধি, মেধা ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে প্রাণিজ আমিষের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও খাদ্য চাহিদা মেটাতে প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এর সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা জরুরি।"

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, "বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ একসঙ্গে কাজ করলে প্রাণিজ আমিষের নিরাপদ উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।"

সম্মানিত অতিথি রোটা. প্রফেসর ড. সৈয়দ শাহ আলম বলেন, "উন্নত দেশে শর্করার তুলনায় আমিষ গ্রহণের হার বেশি। বাংলাদেশেও প্রাণিজ আমিষের গ্রহণ বাড়াতে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।"

বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ বলেন, "বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন প্রায় স্যাচুরেশনের কাছাকাছি। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা জরুরি।"

বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ ড. মো. ইসমাইল হক বলেন, "যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন খামার করতে হবে। তাহলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।"

রোটারিয়ান ড. মো. গোলাম মওলা বলেন, "লাইভস্টক সেক্টরে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও গবেষণা বাড়াতে হবে, যাতে প্রাণিজ আমিষের নিরাপদ উৎপাদন ও সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা যায়।"

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মো. এনামুল হক, সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আখতারুল ইসলাম, রোটারিয়ান ড. মো. গোলাম মওলা, ডাইরেক্টর, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল, রোটারিয়ান মো. মিজানুর রহমান, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল, রোটারিয়ান মো. আতিকুর রহমান, সেক্রেটারি, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল, রোটারিয়ান রফিকুল ইসলাম রিপন, প্রেসিডেন্ট নমিনি, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল, মিসেস সেলিনা বেগম, বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সহ-সম্পাদক, মো. মজিবুর রহমান, কুষ্টিয়া, মো. হাফিজুর রহমান, নাচোল, মো. মজিবুর রহমান, নাটোর পল্লী প্রাণি পালন সমিতি, সুজন রাজশাহী জেলা সম্পাদক মো. মাহমুদুল আলম মাসুদ সহ অরও অনেক সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা সোসাইটির কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত করার আহ্বান জানান। বি এল এস সভাপতি রোটারিয়ান প্রফেসর ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন: “বিভিন্ন সময়ে সোসাইটিকে অকুণ্ঠ সহযোগিতা, পরামর্শ ও অবদানের কারণে সংগঠন আজ এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে। তিনি মনে করেন, সোসাইটিকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমাদের পথচলাকে অর্থবহ ও গতিশীল করেছে। এই মহিমান্বিত মাসে আমরা আপনাদের সকলের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, যেন আপনাদের ব্যক্তিগত, পেশাগত ও সামাজিক জীবনে উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি আসে। আপনার পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও প্রিয়জনের জীবন যেন শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়।”

অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং অতিথিদের মধ্যে ইফতার পরিবেশন করা হয়।