এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, শহিদ মীর মুগ্ধদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। তরুণরা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন দেশের প্রয়োজনে তারা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। এই বীর শহিদদের স্মৃতি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।
আজ দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, রাজনীতিমুক্ত একটি ক্যাম্পাসে মীর মুগ্ধ’র মতো রাজনীতিসচেতন শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠছে। মীর মুগ্ধকে আমরা হারিয়েছি ঠিকই, কিন্তু তার মতো অনেকেই এই ক্যাম্পাসে এখনো আছে। মুগ্ধ ছিলো মানবিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন শিক্ষার্থী। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের মধ্যে ‘ভাই, পানি লাগবে পানি’ বলে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আজ তাঁর স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ আমি এবং মুগ্ধ’র ভাই স্নিগ্ধ উদ্বোধন করতে পেরেছি- এটা আমাদের জন্য গর্বের।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণের জন্য শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছে, তা অত্যন্ত যৌক্তিক। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার- দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। উভয় প্রতিষ্ঠানের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে বলে আশা করি।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মজিদ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ও অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত।
উল্লেখ্য, জুলাই-২০২৪ অভ্যুত্থানে শহিদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ নামকরণ করা হয়েছে।
এদিকে আজ বিকালে উপদেষ্টা খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর আওতায় পিজি খামারিদের মাঝে প্রাণিসম্পদ উপকরণ বিতরণ করেন।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. নুরুল্লাহ মোঃ আহসানের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা তান্বী ও এলডিপি প্রকল্পের উপ পরিচালক ড. হিরন্ময় বিশ্বাস।