
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: ২৬ নভেম্বর খুলনার ডুমুরিয়া এবং যশোরের কেশবপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৫-এ একাধিক পুরষ্কার জিতে গ্রিন ডেইরি প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষক এবং কমিউনিটির সদস্যরা প্রকল্পটিকে গর্বিত করেছেন। যশোরের কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেক্সোনা খাতুন এবং ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আশরাফুল কবির এই পুরষ্কার প্রদান করেন।
গ্রিন ডেইরি প্রকল্পের তিন সদস্যকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদানের জন্য স্বীকৃতি একটি টেকসই দুগ্ধ শিল্প বিকাশের জন্য নিশ্চিতভাবে অনুপ্রাণিত করবে। এটি আরলা বিগ ফাইভ ফ্রেমওয়ার্কের পাঁচটি লক্ষ্য যথা প্রাণির ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য ব্যবস্থা ও কার্যকারিতা, প্রাণির দৃঢ়তা বা প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকার সক্ষমতা, গোবর ব্যবস্থাপনা এবং ভূমি ব্যবহার এর যথাযোগ্যতাকে প্রমাণ করে। এছাড়াও, এটি কৃষক কমিউনিটির সক্ষমতা এবং পরিবেশবান্ধব অনুশীলনের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রমাণ করে।
প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষক হাসান মাহমুদের পুত্র, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র, আরিয়ান, কৃষিতে তার অসাধারণ আগ্রহ ও উদ্দীপনার জন্য বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেছেন। তার এই অর্জন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতৃত্ব ও কমিউনিটি ভিত্তিক কৃষির জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। অন্যদিকে, শিবানী মণ্ডল এবং দীপক কুমার চক্রবর্তী দুগ্ধ খাতে সর্বোত্তম অনুশীলন এবং প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন। দুগ্ধের পূর্ণ পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং ভোক্তাদের আস্থা তৈরির জন্য তাদের প্রচেষ্টা দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবেশ বান্ধব অনুশীলন দুগ্ধ শিল্পকে উন্নীত করতে সহায়তা করেছে।
গ্রিন ডেইরি প্রকল্পের এই অর্জন কৃষক কমিউনিটির ক্ষমতায়ন, পরিবেশবান্ধব অনুশীলন প্রচার এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজারের সাথে টেকসই সংযোগ স্থাপন তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। উদ্ভাবন, কমিউনিটির সম্পৃক্ততা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে, গ্রিন ডেইরি প্রকল্প বাংলাদেশের দুগ্ধ খাতে একটি নতুন মান স্থাপন করছে। গ্রিন ডেইরি প্রকল্পের (ডিজিবিপি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো: মাজেদুর রহমান এই অর্জন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, "এটি কেবল সম্মাননা বা পুরস্কার নয় - এগুলো আমাদের টেকসই অগ্রযাত্রার সুস্পষ্ট মাইলফলক। গ্রিন ডেইরি প্রকল্প উদ্ভাবন, উত্তম চর্চা এবং তৃণমূল পর্যায়ের কমিউনিটি ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের দুগ্ধ খাতে স্থায়ী ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর।"
২০২৪ সালে চালু হওয়া, গ্রিন ডেইরি পার্টনারশিপ আরলা ফুডস, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া, প্রাণ ডেইরি, এসইজিইএস ইনোভেশন ডেনমার্ক, আইডিআরএন এবং ডেনিশ কৃষি ও খাদ্য কাউন্সিলের একটি সমন্বিত সহযোগিতামূলক উদ্যোগ। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ২০২৯ সালের মধ্যে দশ হাজার দুগ্ধ খামারির ক্ষমতায়ন (যার ৮০ ভাগই মহিলা), টেকসই খামার পদ্ধতি অনুশীলন, জলবায়ু সহনশীলতা এবং বাংলাদেশের দুগ্ধ খাতে জেন্ডার-অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি প্রচার করা।
























