মো. জুলফিকার আলী: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, ঢাকা’র আয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চলের কর্মকর্তাদের “খামারি’ মোবাইল অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং সিস্টেম বিষয়ক প্রশিক্ষণ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চলের সম্মেলন কক্ষে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ শুরুতে সুধীজনদের শুভেচ্ছ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন-ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধরী, এক্সপার্ট, ক্রপ জোনিং প্রকল্প,বিএআরসি ঢাকা।
উক্ত প্রশিক্ষণে ড. মো. বক্তীয়ার হোসেন, সদস্য পরিচালক, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বিএআরসি, ঢাকা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কৃষিবিদ ড মোঃ মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট। তিনি বলেন- সিলেট অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি, কৃষকের জীবনযাত্রার মান ও টেকসই কৃষি উন্নয়নে সর্বোপরি জাতীয় পর্যায়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ প্রদত্ত সেবাসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের খামারি অ্যাপ ব্যবহার প্রশিক্ষণ, প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণ শুরুতে সুধীজনদের শুভেচ্ছ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধরী, ক্রপ, এক্সপার্ট, ক্রপ জোনিং প্রকল্প ,বিএআরসি ঢাকা। তিনি ডিএই কর্তৃক ধানের উপর ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ সার সুপারিশ ব্যবহার করে সম্পন্নকৃত প্রদর্শনী ট্রায়ালের ফলাফল উপস্থান করেন। ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ ব্যাবহার বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন-হাসান মো. হামিদুর রহমান, পরিচালক (কম্পিউটার ও জিআইএস ইউনিট) ও পিআই এবং ক্রপ জোনিং সিস্টেমের উপর পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন -মো. আবিদ হোসেন চৌধুরী, প্রজেক্ট ম্যানেজার, ক্রপ জোনিং প্রকল্প, বিএআরসি, ঢাকা।
প্রশিক্ষণে উপস্থাপানয় জানানো হয়, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষকসহ অন্যান্য উপকারভোগীর নিকট উন্নত সেবা প্রদানে ফসল উৎপাদন পরামর্শক হিসাবে ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। খামারি অ্যাপটি বাংলায় প্রস্তুত করায় এটি সহজেই বোধগম্য এবং এর ব্যবহার পদ্ধতি কৃষকবান্ধব। এটি ট্যাব এবং মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে এবং Android, IOS অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর এবং ম্যাক অ্যাপ স্টোর হতে সহজেই ডাউনলোড করা যাবে এতে জমির উপযোগি ফসল, ফসল ও ফসল বিন্যাস-ভিত্তিক সার সুপারিশ, মাটির বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণের অবস্থাসহ ফসলের মুনাফা সম্পর্কে ধারণা, কৃষি প্রযুক্তি ও ফসলের জাত ইত্যাদি তথ্য সহজেই পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে সার খরছ সাশ্রয় ও ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
দিনব্যাপি প্রশিক্ষণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রেনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।