সাভারে কৃত্রিম প্রজনন ও জাত উন্নয়ন বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ শুরু

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন দপ্তরের আয়োজনে ও এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের সহযোগিতায় সাভারে কৃত্রিম প্রজনন ও জাত উন্নয়ন বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ আজ ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়েছে হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করছে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের লাইভস্টক এসিস্ট্যান্টগণ। এ পর্যন্ত ১৫৯৭ জন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। চলতি মাসে আরও ৫টি ব্যাচে মোট ৩৮৫ জন অংশগ্রহণ করবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিবিদ শাহজামান খান, পরিচালক, কৃত্রিম প্রজনন দপ্তর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. সৈয়দ আলী আজমল, উপ-পরিচালক কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি ও কোর্স কো-অর্ডিনেটর এবং কৃষিবিদ মো. তবারক আলী, সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার, এনিমেল ব্রিডিং, সাভার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. গোলাম আজম, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ও কোর্স পরিচালক। সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ তুখলিফুল মিয়াদ মঈন, এসিস্ট্যান্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজার (এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স)।

প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ইউনিয়ন পর্যায়ের লাইভস্টক টেকনিশিয়ানদের কারিগরি জ্ঞান বৃদ্ধি, আধুনিক কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানো, সঠিক রেকর্ডিং ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জানা, ডিজিটাল মাধ্যমে সেবা সম্প্রসারণ এবং মহিষের কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, গবাদিপ্রাণির জাত উন্নয়নের জন্য কৃত্রিম প্রজননের সঠিক নীতিমালা লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্টরা যাতে সঠিকভাবে পালন করতে পারেন সেই জন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর-এর কৃত্রিম প্রজনন দপ্তর, আর্টিফিশিয়াল ইন সেমিনেশন টেকনোলজি ট্রান্সফার সেন্টার (AITTC)-এর মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশের কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে জড়িত লাইভস্টক এসিস্ট্যান্ট এর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাত উন্নয়নের সঠিক ধারা বজায় থাকবে।

বক্তারা বলেন, এছাড়া যত্রতত্র নামে-বেনামে নিম্নমানের সিমেন ব্যবহারের মাধ্যমে গবাদি প্রাণীর জাত উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। সঠিক ব্রীডিং পলিসি মেইনটেইন করে সঠিক জাতের সিমেন ব্যবহার করে সঠিক খামার ব্যবস্থাপনা, সঠিক পুষ্টি, রোগ বালাই ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় গুলি যখন একজন লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্ট সঠিকভাবে আয়ত্ত করতে পারবে তখনই কেবল জাত উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে জড়িত গবেষকরা।

রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা তাদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন, যা দেশের কৃত্রিম প্রজনন খাতকে আরও উন্নত করে দুগ্ধ ও গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ খাতকে একটি টেকসই শিল্পে রূপ দিতে সহায়ক হবে বলে আশা করছে কৃত্রিম প্রজনন দপ্তর।