খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গবেষণায় পর্যাপ্ত সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদান করা প্রয়োজন-সিকৃবি ভিসি

সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেছেন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গবেষণায় পর্যাপ্ত সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদান করা প্রয়োজন।

আজ ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর উদ্যোগে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে “প্রজেক্ট এন্ড ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড গিভিং সিরোমনি” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাউরেসের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সঞ্চালনায় এবং পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী ও সাউথইস্ট ব্যংক পিএলসি এর এসএভিপি কাজী মোঃ ইরফান উল হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কৃষিবিদরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রায় কৃষিবিদদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার অভাবে প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে পৌছানো সম্ভব হয়না। সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে গবেষণা সহায়তা পেলে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন কম ক্ষতিকর জেনটিক্যালি মোডিফাইড ফুড (জিএম ফুড) সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী বলেন, কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গবেষণা কার্যক্রম গুলোকে মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে হবে যা আর্থসামাজিক উন্নয়নে সফল ভূমিকা পালন করবে।

এসময় অনুষ্ঠানে বক্তারা দাতা সংস্থাগুলোকে গবেষণা কাজে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দেন যাতে যেসকল গবেষকদের কাছে প্রযুক্তি আছে তারা যেন তা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারেন।

উল্লেখ্য সাউরেস এর তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে ৬৭৭ টি গবেষণা প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে এবং ১০৫৭ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৯৯ টি গবেষণা কাজের জন্য ৪ কোটির অধিক টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।