মাহফুজুর রহমান: বিশাল ময়দানের নাম মিনা। মক্কা নগরীর এক পাশে কাবা শরিফ থেকে ৫কিঃ মিঃ দূরেই এটি অবস্থিত। পুরো ময়দানটিই সাদা রঙের স্থায়ী তাঁবু দিয়ে সাজানো। দূর থেকে এগুলোকে অসংখ্য গম্বুজ মনে হবে। হাজীদের ৮ জিলহজ জোহরের আগে মিনায় থাকতে হয়। এদিন জোহর থেকে পরের দিন ফজর পর্যন্ত এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া সুন্নত। ৯ জিলহজ হাজীদের মিনা থেকে আরাফাহ ময়দানে যেতে হয়। ১০ জিলহজ মুজদালিফায় রাত যাপন করে ১১ জিলহজ সকালে মিনায় ফিরে জামরায় পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। জামারা এখন বন্ধ থাকায় আমরা কাছে যেয়ে সেটি দেখতে পারি নাই। দূর থেকে শয়তানকে পাথর মারার স্থান আমরা অবলোকন করি। জিলহজের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ এই তিনদিন মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। মিনার বর্তমান চিত্র খুবই সুন্দর ও পরিপাটি একটি শহর। এটাকে বিশ্বের বৃহত্তর তাঁবুর শহরও ধরা হয়। এখানকার তিন দিন অবস্থানকারী হাজীদের জন্য কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এসব তাঁবু।

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদ-উল আযহার প্রধান জামাত সকাল ৭.৩০টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষে অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে । আগামীকাল সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মাহফুজুর রহমান: সাফা-মারওয়ার ইতিহাস ইতিমধ্যে বলেছি। সাফা পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে কাবা-মুখি হয়ে দোয়া করলে সে দোয়া কবুলের সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। আমরা সাফা পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে দোয়া-দরুদ পাঠ করে সায়ী শুরু করি। সাফা থেকে মারওয়া এক মারওয়া থেকে সাফা এক এভাবে আমরা মোট সাতবার সাফা-মারওয়া সায়ী শেষ করি। সবুজ বাতি দ্বারা চিহ্নিত স্থানগুলোতে একটু জোড়ে দৌড়ানোর আমলও করি। আলহামদুলিল্লাহ।

মাহফুজুর রহমান: জমজমের পানি পান করতে করতেই মনে পড়ে এর ইতিহাস। হযরত ইবরাহিম (আঃ)-এর ইতিহাসের সাথে জমজম কূপের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। হযরত ইবরাহিম (আঃ) যখন শিশু ইসমাঈল (আঃ)সহ বিবি হাজেরা (আঃ)কে মক্কায় নির্বাসনে পাঠান, তখন থেকেই জমজম কূপের আবির্ভাব হয়। হজরত ইবরাহিম (আঃ) যখন সিরিয়া থেকে মক্কায় পৌঁছেন তখন বিবি হাজেরা (আঃ) এবং দুধের শিশু হজরত ইসমাঈল (আঃ) কে মক্কার মরুভূমিতে রেখে সিরিয়া প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন এক মশক পানি এবং একটি থলের মধ্যে কিছু খেজুর তাদের কাছে রেখে গেলেন। হজরত হাজেরা (আঃ) কয়েকদিন পর্যন্ত সে পানি ও খেজুর খেলেন এবং নিজের কলিজার টুকরা হজরত ইসমাঈলকে দুধ পান করালেন।

মাহফুজুর রহমান: মিসফালাহ এর হিজরা রোডে আমাদের হোটেল। এখান থেকে কাবার দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। পায়ে হাঁটার ৮/১০ মিনিটের পথ। হোটেল থেকে নামতেই প্রথম চোখে পড়ল ক্লক টাওয়ার। যেটি ১২০ তলা বিশিষ্ট। অনেক দূর থেকেও স্পষ্টভাবে ক্লক টাওয়ারের ঘড়িতে সময় দেখা যাচ্ছে।

মাহফুজুর রহমান: আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মস্তক অবনত চিত্তে শুকরিয়া আদায় করছি, যে মহান আল্লাহ তার এই অধম বান্দাকে জীবনের একটি বড় স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার তাওফিক দিয়েছেন। আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করা এবং নবীর রওজা জিয়ারাহ করার স্বপ্ন লালন করেছি খুব অল্প বয়স থেকেই। কেন যেন স্বপ্ন দেখতাম কাবার গিলাফ ছুয়ে দেখার। হাজরে আসওয়াদ যেন আমায় ডাকতো চুম্বন করার জন্য। মা’কামে ইবরাহিমের দর্শন পাওয়ার আকুলতা সবসময় আমার হৃদয়ে বাসা বেঁধে ছিল।