দেশে প্রতি বছর প্রায় আট হাজার কোটি টাকার ডাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): আমাদের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর প্রায় আট হাজার কোটি টাকার ডাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে ডালফসলের উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। এই জন্য আরো অধিক উৎপাদনশীল জাত এবং কৃষকবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা দরকার। আর তা মাঠে প্রয়োগের মাধ্যমে দেশীয় ডালের যোগান বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাও হবে সাশ্রয় ।

বরিশালে ডালফসল প্রকল্পের গতবছরের গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা এবং চলতি বছরের কর্মসূচি প্রণয়নের দুই দিনব্যাপি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. ছালেহ উদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বরিশালে শহরতলীর রহমতপুরে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বৃহত্তর বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের ডালফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের উদ্যোগে এ উপলক্ষ্যে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সেলিম আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক, বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এবং আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ডাল গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ড. মো. মহিউদ্দিন।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা স্মৃতি হাসনার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, মাদারীপুরের ডাল গবেষণা কেন্দ্রের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জামিল হোসেন, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাজি উদ্দিন, ডাল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহিন মাহমুদ প্রমুখ।

কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে প্রায় ৮০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।