উন্নত মানের ফিস ফিড উৎপাদনে ‘কুকিং’ প্রক্রিয়ার গুরুত্ব

বিশেষ প্রতিনিধি: উন্নতমানের ফিশ ফিড তৈরিতে শুধু সুষম ফর্মুলেশন নয়, বরং উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে কুকিং প্রক্রিয়া, বিশেষ করে এক্সট্রুশন প্রযুক্তির মাধ্যমে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ প্রক্রিয়ায় তাপ, আর্দ্রতা ও যান্ত্রিক চাপ ব্যবহার করে খাদ্য উপাদানগুলোকে এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় যাতে তা অধিক হজমযোগ্য, পুষ্টিমানসম্পন্ন ও পানি-স্থিতিশীল হয় এবং ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়।

আর বি এগ্রো লিমিটেড (কেজিএস গ্রুপ)-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (ফিশ ফিড) ও পুষ্টিবিদ সাইফি নাসির জানান, এক্সট্রুশন কুকিংয়ের সময় সাধারণত ১১০°C থেকে ১৪০°C তাপমাত্রা বজায় রাখা হয়। তবে এটি যন্ত্রের ধরন ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।

উচ্চ তাপমাত্রায় কুকিং করলে পুষ্টি নষ্ট হওয়া, ফ্যাট অক্সিডেশন ও হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার কম তাপমাত্রায় কুকিং করলে খাদ্যের গুণগত মান খারাপ, জীবাণু সংক্রমণ ও পুষ্টির জৈবপ্রাপ্যতা হ্রাস পায়। তাই সঠিক তাপমাত্রা ও সময় মেনে কুকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি।

তরুন ও আধুনিক ধারনার এ পুষ্টিবিদ বলছেন, সঠিকভাবে কুকিং সম্পন্ন হলে ফিডের গুণগত মান নিশ্চিত হয়, মাছ ও পোল্ট্রির দ্রুত বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচে সাশ্রয় ঘটে। সাইফি নাসিরের ভাষায়, “ব্যবহারে চেরিশ ফিশ ফিড সাফল্য নিশ্চিত।”

দেশের অনেক ফিড উৎপাদক প্রতিষ্ঠান এখনো কুকিং প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুরোপুরি অনুধাবন করতে না পারায় উন্নত মানের কাঁচামাল ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত মানের ফিড উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে উদ্যোক্তাদের উচিত ফিড উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ পুষ্টিবিদ ও অভিজ্ঞ মেশিন অপারেটরদের সমন্বয় ঘটানো।