ইসলামিক ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সমাজে পারিবারিক, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও নানা ধরনের দ্বন্দ্ব-কলহ, হিংসা-বিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অথচ ইসলাম এমন এক জীবনব্যবস্থা যা কেবল মুসলমানদের নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। ইসলামের মূল শিক্ষা হলো শান্তি, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন: “নিশ্চয়ই মুসলমানরা পরস্পরের ভাই।” (সূরা হুজরাত: ১০)
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ জীবনে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের প্রতি দয়া, সহনশীলতা এবং ন্যায়পরায়ণতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন: “তোমরা তোমাদের ভাইয়ের উপকারে এসো, চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করো এবং তার কল্যাণে ভূমিকা রাখো।” (বুখারি)
ইসলাম ধৈর্য ও সহনশীলতাকে উৎসাহিত করে। সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একজন মুসলমানকে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে, প্রতিবেশীর হক আদায় করতে হবে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশ্ব নবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণ করে আমরা যদি সত্যিকার অর্থে ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলি, তবে সমাজে হানাহানি নয়, বরং ভালবাসা, সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় হবে। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শনই ইসলামের অন্যতম মূলনীতি।
এজন্য প্রয়োজন ইসলামী শিক্ষা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা, আত্মশুদ্ধি, সহনশীলতা এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। তাহলেই এই পৃথিবী হয়ে উঠবে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে কঠিন সময় অতিক্রম করার শক্তি দান করুন এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সমাজ গঠনের তৌফিক দিন-আমিন।