আশা ইউনিভার্সিটিতে এআই ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (ASAUB) এর ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (IQAC) এর আয়োজনে কনফারেন্স রুমে বুধবার “Bridging Academia and Industry through AI and Cybersecurity” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. রেজাউল করিম।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. রেজাউল করিম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও সাইবার নিরাপত্তাকে একাডেমিক পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার তাত্পর্য তুলে ধরেন। একইসাথে তিনি একাডেমিয়া ও শিল্পক্ষেত্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, শক্তিশালী শিল্প–একাডেমিয়া অংশীদারিত্ব ছাড়া বাংলাদেশ দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (BOT) এর সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবন ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে প্রস্তুত করার উদ্যোগকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসরুর আলী। তিনি ASAUB-এর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, বৈশ্বিকভাবে সাইবার নিরাপত্তার হুমকি দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর টেকসই সমাধান একাডেমিক গবেষণা ও শিল্পক্ষেত্রের সমন্বয়ের মাধ্যমেই সম্ভব। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের এআই, সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা বিষয়ে আন্তঃবিষয়ক গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৌদি আরবের মদিনায় প্রিন্স মুকরিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব কম্পিউটার অ্যান্ড সাইবার সায়েন্সেস-এর সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ফরেনসিক কম্পিউটিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। তিনি এআই-এর বহুমুখী ব্যবহার তুলে ধরেন—যেমন রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, স্মার্ট অটোমেশনের মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়, বুদ্ধিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও স্মার্ট সিটি ব্যবস্থাপনা। তিনি বিশ্বব্যাপী এআই-সংক্রান্ত প্রবণতা, ক্রমবর্ধমান সাইবার ঝুঁকি এবং গবেষণায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও বিস্তারিত আলোকপাত করেন। ড. রহমান বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি চালুর আহ্বান জানান, যাতে স্নাতকরা বৈশ্বিক মানসম্পন্ন দক্ষতা অর্জন করতে পারে, বিশেষ করে এআই ও সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে।

সেমিনারের শেষ পর্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (IQAC)।