মো. জুলফিকার আলী: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং Regional Integrated Multi-Hazard Early Warning System for Africa and Asia (RIMES) কর্তৃক আয়োজিত বিভাগীয় ক্লাইমেট অ্যাপ্লিকেশন ফোরাম- শীতকালীন অধিবেশন ২০২৪- গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, সিলেট এর সম্মেলন কক্ষে ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী, বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জি. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, প্রধান প্রকৌশলী, বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), সিলেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. সোহাগ মিলু, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, মৌলভীবাজার, কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), সিলেট অঞ্চল, সিলেট।
সৈয়দা সাবরিনা সুলতানা কারিগরি কর্মকর্তা (আবহাওয়া) আঞ্চলিক ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম এর সঞ্চলনায় বাংলাদেশের আবহাওয়ার তথ্য ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন-ড.মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক, আবহাওয়াবিদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি); এস. এম. কামরুল হাসান, উপ-পরিচালক, ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি); সরদার উদয় রায়হান, নির্বাহী প্রকৌশলী, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সম্পদ ব্যক্তি: সজিব হাসান, আইটি বিশেষজ্ঞ- বাংলাদেশ, রিমস।
উপস্থাপনায় প্রতি বছর বর্ষা ও শীত মৌসুমের শুরুতে মৌসুমী পূর্বাভাসসমূহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জানাতে এবং আসন্ন মৌসুমকে সামনে রেখে এই পূর্বাভাস ব্যবহার করে বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের শীত মৌসুমের (নভেম্বর-জানুয়ারি) সম্ভাব্য পূর্বাভাসের একটা ধারণা হয়। এর মাধ্যমে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, শৈত্যপ্রবাহ, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য আবহাওয়াগত অবস্থার নিরিখে কৃষি ক্ষেত্রে রবি (মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য মার্চ) মৌসুমে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেমন সাহায্য করবে, তেমনি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খাত, যেমন- পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য, প্রাণীসম্পদ, নগর পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন, নৌ পরিবহন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়াও শীতকালকে সামনে রেখে বিভিন্ন অধিদপ্তর যাতে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও এসংক্রান্ত নীতি গ্রহণ করতে পারে, পূর্বাভাস ব্যবহার করে নিজ নিজ খাতে পরিকল্পনা গ্রহণ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং পূর্বাভাস ব্যবহারকারী ও প্রদানকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড, অন্যান্য অধিদপ্তর, সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ, বেসরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ অংশগ্রহণ করেন।