নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং স্মার্ট কৃষি: পরিকল্পনা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা হয়েছে। আজ নগরীর খামারবাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএইর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক ড. মো. সহিনুল ইসলাম।
ডিএই বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ, লিগ্যাল সাপোর্ট সার্ভিসেস’র উপরিচালক এ কেএম হাসিবুল হাসান এবং উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপপরিচালক (রপ্তানী) হাসান ইমাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন হর্টিকালচার উইংয়ের উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা এবিএম শাহ এমরান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই ভোলার উপপরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর, পিরোজপুরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম , বরিশালের জেলা প্রশিক্ষণ আফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত উপপরিচালক এইচ এম শামীম, কাউখালীর উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রানী দাস, ভোলা সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান. বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মোহা. আব্দুর রউফ, পটুয়াখালী সদরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার একলাছুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডিএই, কৃষি তথ্য সার্ভিস এবং এটিআইর ৮০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি ড. মো. সহিনুল ইসলাম বলেন, উৎপাদনে সুফল বয়ে আনার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। অটোমেশন যেহেতু দ্রততার সাথে সেবা নিশ্চিত করে। তাই শুরুটা মাঠ পর্যায় থেকেই করা দরকার। তিনি আরো বলেন, যান্ত্রিকীকরণ কৃষকের খরচ এবং শ্রমকে কমিয়ে লাভজনক করে। এর প্রাপ্যতা এবং ব্যবহার উভয়ই বাড়ানো জরুরি। তাহলেই কৃষকরা আরো উপকৃত হবেন।
উল্লেখ্য, জার্মানীতে ১ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে আনুষ্ঠানিকভাবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপস্থাপিত হয়। এটি মূলত ডিজিটাল বিপ্লব। প্রথম বিপ্লব হয়েছিল ১৭৮৪ সালে, দ্বিতীয় বিপ্লব ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে আর তৃতীয় বিপ্লব হয়েছিল ১৯৬৯ সালে।