রাজধানী প্রতিনিধি: বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যাতে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা সহ এ সংলগ্ন অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে যে সমস্যা জনজীবনে যেমন দুর্ভোগ নেমে এসেছে তেমনি লাইভস্টক সেক্টরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি সাধন থেকে উত্তরণের জন্য আমরা যারা প্রাইভেট সেক্টরে এনিমেল হেলথ ডিভিশনে কর্মরত রয়েছি, তারা এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে হোক অথবা ত্রাণ হিসেবে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দিয়ে আমরা খামারীদের সহযোগিতা করতে পারি।
কথাগুলো বলছিলেন, Healthcare Formulations Limited, Animal Health Division সিনিয়র প্রোডাক্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত ডা. মোঃ রুহুল আমিন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে পানি নেমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের গরু কিংবা গবাদিপশুর বাসস্থান ছিল সে বাসস্থানগুলোতে ময়লা-আবর্জনা জমা হয়েছে। এছাড়া অনেক গোয়ালঘর ভেঙে গিয়েছে। এ ভাঙ্গা ঘরগুলো আমাদের অল্প সময়ের মধ্যে মেরামত করতে হবে, কারণ আমাদের যে গবাদিপশু ছিল এ আর্দ্র পরিবেশের সাথে থাকার কারণে বিভিন্ন রোগ যেমন ফুট রট বা পা পঁচা রোগ দেখা দিতে পারে। ( FMD) এফএমডি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি কমন ডিজিজ। বন্যা পরবর্তী সময় গরুর এ রোগও হতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বন্যার সময় গবাদীপশুরা খাদ্যভাবে ছিল, তারা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সঠিকভাবে পায়নি। এর ফলে গবাদি পশু এ সময় পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারে। এর ফলে গবাদি পশুর ইমিউনো ডিফিসিয়েন্সির কারণে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস দেখা দিতে পারে। আমরা খামারি ভাইদের বলতে চাই, আপনারা বিভিন্ন ধরনের বা যে সকল পথ্য বা ওষুধ রয়েছে যেগুলো ইমিউনিটি বাড়ায়, সেগুলো গবাদিপশুদের দিতে পারেন।
বন্যা পরবর্তী সময় বিশুদ্ধ পানির অভাব ছিল এর ফলে ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগের প্রকোপ আমরা দেখতে পাই। খামারী ভাইদের পরামর্শ দিব, আপনারা পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টি-ডায়ারিয়াল পথ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে পারেন। বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ খামারিদের পরামর্শ নিয়ে গবাদী পশুর ডেইলি রেশন টা নিয়মিত দিবেন।
বন্যা পরবর্তী সময়ে শুকনো খাবার দিয়ে কিভাবে রেশন তৈরি করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করবেন। লাইভস্টক সেক্টরের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান করছি। "আমরা ভেটেনারিয়ান যারা আছি তারা খামারিদের পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব।"