এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত যে ডা. রোকনুজ্জামানের মতো একজন প্রতিভাবান এবং উদ্যমী ভেটেরিনারিয়ান তৈরি করতে পেরেছে। পুঠিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে ডা. মো. রোকনুজ্জামান অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। নাটোরের গুরুদাসপুরে তিনি আরো ভালো কাজ করবেন এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের (ভি এ এস) তৃতীয় ব্যাচের কৃতি ছাত্র ডা. মো. রোকনুজ্জামান- এর পুঠিয়া থেকে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায় বদলি উপলক্ষে এক বিদায় অনুষ্ঠানে এমন অনুভূতি ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে পুঠিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের প্রফেসর ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, প্রফেসর ড. মো.আখতারুল ইসলাম, ড. জসিম উদ্দিন, এবং ড. মো.হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ। এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং ডা. রোকনুজ্জামান অতিথিদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।
উল্লেখ্য, ডা. মো. রোকনুজ্জামান পুঠিয়া উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। দীর্ঘ ছয় বছর পুঠিয়ায় ভেটেরিনারি সার্জন হিসেবে কাজ করা প্রসঙ্গে প্রফেসর ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার বলেন, "ডা. রোকনুজ্জামান এই কম সময়ে পুঠিয়ার প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে যে অবদান রেখেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।"
অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব মুজিবুর রহমান জানান, "পুঠিয়ায় আমার চাকরি জীবনে ডা. রোকনুজ্জামানের মতো এত দক্ষ কর্মকর্তা আর দেখিনি। এক বছরের মধ্যেই তিনি বিশাল অগ্রগতি করেছেন।"
ডা. রোকনুজ্জামান বিদায় উপলক্ষে বলেন, "পুঠিয়ায় আপনাদের ভালোভাবে আপ্যায়ন করতে পারিনি, এর জন্য পুনরায় সুযোগ চাই" তার এই আন্তরিক কথায় সকলেই অত্যন্ত প্রীত হন।