পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বৃদ্ধির কারণে ফাস্ট ফুড শিল্পে ব্রয়লার মাংস অতুলনীয়

রাজধানী প্রতিবেদক: ফাস্ট ফুডের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় ডিম ও ব্রয়লার মাংস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এদের সহজলভ্যতা, পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বৃদ্ধির কারণে ফাস্ট ফুড শিল্পে এদের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। তবে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিরাপদ উপায়ে এসব উৎপাদন করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে এ ধরনের অনেক খাবার বিশেষ করে চিকেন, নাগেট, সসেজ, চিকেন দিয়ে বয়লার মুরগি দিয়ে নানা রকম রেসিপি এখন ইউটিউব, ফেসবুকের কল্যাণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর রাস্তাঘাটে সকল শ্রেণীর ভোক্তাদের জন্য রয়েছে সিদ্ধ ডিম বিক্রির ব্যবসা। ফলে সর্বদিক দিয়ে এই শিল্পটি আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রার খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে।

বলছিলেন এজি এগ্রো ফুডস্ লি:-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেহনুমা আহসান। আসন্ন পোল্ট্রি মেলায় এ ধরনের বিভিন্ন রেসিপি প্রদর্শন করে ভোক্তদের মাঝে আরও আকৃষ্ট করতে হবে অভিমত জানান তিনি।

আজকালকার তরুণ প্রজন্মরা ব্রয়লার মুরগি দিয়ে তৈরি নানা রকম রেসিপি অত্যন্ত পছন্দ করেন। স্ট্রিট ফুডে গেলেও দেখা যায় স্ট্রিট ফুড কেন্দ্রিক একটি বড় মার্কেট গড়ে উঠেছে। এই ব্রয়লার মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি নানা রকম রেসিপি তাঁরা উপভোগ করছে এবং এটি একটি বিরাট বাজার। তবে এটি আরও সম্প্রসারণ এবং নিরাপদভাবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এখনও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলাবাজারে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। এসব বিষয়ে তদারকি হওয়া দরকার। ভোক্তা অধিদপ্তরের মাঝে মাঝে তদারকি লক্ষ্য করা গেলেও তাঁদের জনবলের অভাবে অনেক সময় কাজগুলো অসমাপ্ত থেকে যায়। তারপরেও এটি একটি ইতিবাচক দিক পোল্ট্রি শিল্পের জন্য।

রেহনুমা আহসান ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলার সফলতা কামনা করেন। পাশাপাশি মেলায় সকল শ্রেণীর ভোক্তাদের পরিদর্শন করে দেশের আধুনিক পোল্ট্রি শিল্প সম্পর্কে ধারনা নেওয়ার অনুরোধ জানান।