সিকৃবি প্রতিনিধি: প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন ও সরবরাহে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের ভেটেরিনারিয়ানরা। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদনির্ভর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে তাঁদের অবদান অপরিসীম। এই ভূমিকাকে আরও সুসংহত করতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সফলভাবে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেছে।
৬ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অনুষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টার্নশিপ সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন ইন্টার্নশিপ বাস্তবায়ন কমিটির কো-অর্ডিনেটর এবং সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন ফিজিওলজি বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ডা. সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ ছিদ্দিকুল ইসলাম, সিলেট জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. রনজিত কুমার আচার, এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের জিএম জয়ন্ত দত্ত গুপ্তা।
বক্তারা বলেন, প্রাণিসম্পদের স্বাস্থ্য ও উৎপাদন দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে ডিম, দুধ ও মাংসের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে গত এক দশকে। দেশের মোট প্রাণিজ আমিষের ৭৬ শতাংশই আসে এই তিনটি খাত থেকে। পোলট্রি ও ডেইরি শিল্প দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শিল্পে পরিণত হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি এই শিল্পগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এই উন্নয়নের পেছনে ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা অপরিহার্য।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দক্ষ ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েট হতে হলে শুধু একাডেমিক পড়াশোনা নয়, বাস্তব প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনও জরুরি। মানুষের, প্রাণীর ও পরিবেশের স্বাস্থ্য পরস্পর সংযুক্ত এই উপলব্ধিকে কেন্দ্র করে একটি স্বাস্থ্য (One Health) ধারণা আরও শক্তিশালী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের বিভাগীয় চেয়ারম্যান, সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, ডিভিএম ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ বছর ডিভিএম ২৫তম ব্যাচের ৮৩ জন শিক্ষার্থী ৮টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে। ইন্টার্নশিপের এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তাঁদের দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।