এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় প্রান্তিক খামারিদের মাঝে উৎসাহ ও আগ্রহ বাড়ছে। সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর আয়োজনে এক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী খামারিরা জানান, সঠিক খামার ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ তাদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আয় বাড়াতে সহায়ক হবে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী খামারিরা জানান, এ ধরনের প্রশিক্ষণ তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বাড়াতে সহায়ক হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা নিজেদের খামারকে আরও লাভজনক ও টেকসই করে তুলতে পারবেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন মোট ৪০ জন খামারি। হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালন ব্যবস্থাপনা নিয়ে মূল আলোচনা করেন ডা: মো: শাহাদাত হোসেন, টেকনিক্যাল হেড, এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ভবেশ চন্দ্র রায়, টেকনিক্যাল ম্যানেজার, এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড; মোঃ ফুয়াদ বিন জাজ, রিজিওনাল ম্যানেজার, দিনাজপুর; এবং অভিজিৎ বিশ্বাস, সিনিয়র সেলস অফিসার, দিনাজপুর-১।
বক্তারা বলেন, শুধু খামার করলেই হবে না, আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে খামারকে টেকসই করতে হবে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালন করলে প্রান্তিক খামারিরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এর ফলে গ্রামীণ জনপদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে, নারীর ক্ষমতায়ন ঘটবে এবং উৎপাদিত পণ্য দেশের প্রাণিজ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তারা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে খামারগুলো টেকসই হবে, উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি হবে। এছাড়া স্থানীয় প্রান্তিক খামারিদের জন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়মিত আয়োজনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন আলোচকরা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রান্তিক খামারিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এসব জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তারা তাদের খামারকে আরও লাভজনক ও সফল করে তুলতে পারবেন। ডিমলার এই কর্মশালা প্রমাণ করেছে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিরাও দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম।