
মো: আমিনুল ইসলাম: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় গত ১০ নভেম্বর (সোমবার) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক বাস্তবায়িত আমন মৌসুমে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান১০৩ জাতের উপজেলার কুজি শহর মাঠে নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহীর প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন । আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহীর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাপস কুমার হোড়, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুমনা হক, তানোরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ কুমার মণ্ডল, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও স্বশিক্ষিত কৃষি বিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি বলেন, স্বর্ণা ধান আমন মৌসুমে রাজশাহীর চাষিদের কাছে আগে থেকেই জনপ্রিয়। এ বছরও রাজশাহীতে এই ধান চাষ হয়েছে ব্যাপক। গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে যে বৃষ্টি ও বাতাস হয়েছে, তাতেই মাঠের স্বর্ণা ধান শুয়ে পড়েছে। কিন্তু পাশেই আটজন চাষির ব্রি-১০৩ ধান দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ধানের গাছও স্বর্ণার চেয়ে লম্বা। কাণ্ড শক্ত তাই বাতাসে হেলে পড়েনি। পেকেছে স্বর্ণার চেয়ে প্রায় ১৫ দিন আগে।
তিনি আরো বলেন, স্বর্ণা ধান ১৯ মণ পর্যন্ত ফলন দেয়। আর তাদের উদ্ভাবিত দেশি জাতের এই ধানের ফলন গড়ে ২২ মণ পর্যন্ত হবে। এধানের রোগ বালাই পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে কম হয়। দামও বেশি পাওয়া যাবে। চাষিরা লাভবান হবেন। সহজে এই ধান শুয়ে পড়ে না। এ জন্য চাষিরা এই ধানের খড়ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও তানোরের মাঠ আলুর জন্য ভালো। এই ধান স্বর্ণার চেয়ে ১৫ দিন আগেই উঠছে। আলু চাষের জন্যও ভালো হবে।
অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কৃষাণ-কৃষাণীসহ প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন ।
























