
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ব্রি ধান১০৯ নিয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ উপজেলার নন্দপাড়ায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) উদ্যোগে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসআরডিআইর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এফ এম মামুন।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সানজিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উৎপল চন্দ্র দাস, প্রদর্শনীচাষি শামীম তালুকদার, কৃষক আনোয়ার হোসেন তালুকদার, কিষাণী তহমিনা আক্তার প্রমুখ। মাঠ দিবসে ২৫ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, মাটিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসেবে সার দিতে হয়। তবে এর প্রকৃত পরিমাণ মাটি পরীক্ষা না করে জানা সম্ভব নয়। জমিতে সার কম দিলে গাছের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আর বেশি দিলে ক্ষতি হয়। তাই মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে সার দেওয়া জরুরি। এতে উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়। পাশাপাশি ফলনও পাওয়া যায় আশানুরূপ।
কৃষক আনোয়ার হোসেন তালুকদার এবার এক বিঘা করে আলাদা আলাদা দুইটি প্লটে এই জাতের ধান চাষ করেছেন। একটিতে মাটির পরীক্ষার সুপারিশ কার্ড অনুযায়ী সার প্রয়োগ করেন। অপরটিতে তার মনমতো সার দিয়েছেন। শস্য কাটার পর দেখা গেছে হেক্টরপ্রতি ফলনের পার্থক্য হয়েছে ১.৮ টন।
উল্লেখ্য, ব্রি ধান১০৯ জলমগ্নসহনশীল আমনের একটি জাত। এর জীবনকাল ১৪৭ দিন। বন্যায় না ডুবলে হেক্টরপ্রতি সর্বোচ্চ ফলন হতে পারে প্রায় ৬.৫ টন। আর বন্যায় প্লাবিত হলে ফলন হতে পারে ৫ টনের কাছাকাছি।
























