বাকৃবি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদদের স্মরণে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একযোগে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতায় 'শহীদি মার্চ' কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে বিভিন্ন হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আব্দুল জব্বার মোড়ে এসে জড়ো হন এবং মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি দেবদারু সড়ক হয়ে শহীদ মিনারে যায়। একই সময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন। পরে শহীদ মিনার থেকে সম্মিলিত মিছিলটি কে. আর. মার্কেট ঘুরে আবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে 'শহীদের স্বপ্ন, বৃথা যেতে দেব না' ; 'আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না' ; 'লাখো শহিদের রক্তে কেনা, দেশটা কারও বাপের না'-সহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মিছিল শেষে গ্রন্থাগারের সামনে শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রায় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী।
শহীদদের উদ্দেশ্যে দোয়া করার পূর্বে কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. হারুন-অর-রশিদ বলেন, খুনি হাসিনা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষকে হত্যা করেছে। যাদের প্রাণ উৎসর্গের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের স্বাধীনতা পেয়েছি , সেই মহৎ প্রাণের স্মরণে আজকের এই দোয়া অনুষ্ঠান। আমরা তাদের এই ত্যাগ কিছুতেই বৃথা যেতে দিবো না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকের শহীদি মার্চ আমাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াইয়ের প্রতীক। এই আন্দোলন শুধুমাত্র আমাদের শিক্ষার্থীদের অধিকার নয়, বরং সমাজের সর্বস্তরের বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি জাগরণ। আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি এই বার্তা দিতে যে অন্যায়, বৈষম্য এবং শোষণের বিরুদ্ধে আমরা কখনও নতি স্বীকার করবো না। শহীদেরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন আমাদের জন্য, আর তাদের সেই আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে আজকের এই কর্মসূচি।