বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জলবায়ু বিষয়ক "ক্লাইমেট অ্যাকশনের উপর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ" শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ওই কর্মশালাটির আয়োজন করেছে হোপস ফর হিউম্যানিটি সেন্টার। জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় সারাদেশ থেকে ২৫ জন তরুণ নেতৃত্বকে ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্যে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
হোপস ফর হিউম্যানিটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এস এম সাজ্জাদ-উল-ইসলাম সভাপতিত্ব কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেকাটিমের চিফ ট্রেইনার আমির হামজা। এসময় আমির হামজার নেতৃত্বে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনের বিষয়বস্তু ছিল ফাউন্ডেশন অফ ক্লাইমেট এ্যাকশন এন্ড কমিউনিটি রেসিলেন্স। এর উপর ভিত্তি করে বেশ কিছু সেশন এবং দলগত কাজ পরিচালিত হয়। এইদিন অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জলবায়ু বিষয়ক বিভিন্ন মাইন্ড গেমের আয়োজন করা হয় যার মাধ্যমে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাযর ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করাও ছিলো এর লক্ষ্য।
দ্বিতীয় দিনে কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল এমপাওয়ারিং লিডারস ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন।
দ্বিতীয় দিন অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে বায়োডাইভারসিটি ম্যাপিং এর আয়োজন করা হয়। এবং প্রতিটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশের বায়োডাইভারসিটি ম্যাপিং তৈরি করে এবং প্রদর্শন করে।
সাজ্জাদ বলেন, হোপস অফ হিউম্যানিটি সেন্টার দ্বারা আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ওয়ার্কশপের লক্ষ্য হল জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি, অভিযোজিত ক্ষমতা বাড়ানো এবং জলবায়ু ঝুঁকি কমানোর জন্য সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা।
তিনি আরো বলেন, এই কর্মশালা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সাথে সংগতিপূর্ণ। এছাড়া সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সহযোগিতামূলক সমস্যা সমাধান এবং সক্রিয় সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারেক্টিভ সেশন, ব্যবহারিক ক্রিয়াকলাপ এবং উদ্ভাবনী সিমুলেশনগুলিতে যুক্ত হবার সুযোগ পাবেন।
হোপস ফর হিউম্যানিটির এই উদ্যোগটি মেরিডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) এর মাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আংশিক অর্থায়ন করেছে।