বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মেয়েদের আবাসন সংকট নিরসনে খালেদা জিয়া হল এবং বিভিন্ন হলের অবকাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত বর্ধিত অংশের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। তখন মেয়েদের হলগুলোর সিট সংকট থাকবে না এবং প্রতিটি রুমে সর্বোচ্চ তিনজন শিক্ষার্থী রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
শুক্রবার (১ আগস্ট) জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাকৃবির জুলাই ৩৬ হলে আয়োজিত ‘অনুরণন জুলাই ৩৬’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও তিনি ওই হলের প্রবেশদ্বারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে নির্মিত নতুন নামফলকও উন্মোচন করেন।
অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, জুলাইয়ের চেতনাকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। এই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা আমাদেরকে লাল চক্ষু দেখিয়েছে, তারা যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন? আমাদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত এই বাংলার বুকে, বাকৃবির বুকে, কোনদিন তারা ফেরত আসতে পারবে না। প্রতিবছরই এই জুলাইয়ের এই অনুষ্ঠান হবে এবং সবাই জুলাইয়ের শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে।
তিনি আরো বলেন, তরুণ প্রজন্ম কখনও অন্যায়কে মেনে নেবে না, কারোর চোখ রাঙানোকে ভয় পাবে না, তারা সবসময় সত্যের পেছনে থাকবে এবং সেটিই ঘটেছে আমাদের জুলাই আগস্টের আন্দোলনে। যারা জুলাইয়ের আন্দোলন অংশগ্রহণ করতে পেরেছে তারা অনেক গর্বিত কিন্তু যারা পারেনি তাদের সারা জীবন এই অংশগ্রহণ না করার দুঃখ বয়ে বেড়াতে হবে। জুলাই ৩৬, এমন ঐতিহাসিক একটি নাম যেটি এসেছে তরুণদের মাথা থেকে। তরুণদের অবারিত সুযোগ সামনে আছে। তাদের ক্ষেত্র শুধু বাকৃবিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, সারা পৃথিবী হবে তাদের চর্চার ক্ষেত্র হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান বাকৃবিতে নারীদের বিভিন্ন হলে প্রতিটি রুমে চার জন বা তার বেশি শিক্ষার্থী থাকছেন।