বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আশরাফুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২১ জন বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থীর ডিগ্রির সনদ বাতিল করা হয়েছে এবং ৩ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও এছাড়াও ২ জন শিক্ষক ( ১ জনকে নিম্নপদে অবনমন এবং অন্যজনকে পদন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত) এবং ১ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে । সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩২৮ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাকৃবির আশরাফুল হক হলে ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১টা পর্যন্ত চারজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল এবং শিবির ট্যাগ দিয়ে গেস্ট রুমে এবং হলের বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মারাত্মকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে। প্রথমে তাদেরকে আহত অবস্থায় একটি লকারের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে মাঝরাতে তাদেরকে হলের বাইরে ফেলে দেওয়া এবং একজন শিক্ষার্থীকে মোটর সাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ার সেন্টারে রেখে আসা হয়।
এ ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৭ মে বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের জরুরি সভায় সুপারিশ প্রদান করা হয় । পরে ১৮ মে তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩২৮তম অধিবেশনে গৃহীত ৮ এর ৩ নং সিদ্ধান্তমূলে অনুমোদনের প্রেক্ষিতে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হয়।
ডিগ্রীর সনদ বাতিলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন : ফুড টেকনোলজি (মাস্টার্স) বিভাগের মো মেহেদী হাসান, এগ্রোনমি (মাস্টার্স) বিভাগের দীপক হালদার, পোল্ট্রি সায়েন্সে (মাস্টার্স) বিভাগের মো আজহারুল ইসলাম, অ্যানিমেল সায়েন্সের (মাস্টার্স) মো সালমান মোস্তফা, জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং (মাস্টার্স) দীপ্ত সিকদার, কৃষি রসায়ন (মাস্টার্স) বিভাগের নুর ই আলম অনিক, পশুপালন অনুষদের (স্মাতক) মো ইবরাহিম আমিন ও সৌরভ মেহরাহ সাকিব, কৃষি অনুষদের (স্মাতক) মো আল মামুন, অন্তর চৌধুরী, হাসিবুল হাসান দুর্জয়, সজীব সাহা ও মো সামস উদ্দীন সাজ্জাদ, কৃষি অর্থনীতি (স্মাতক) অনুষদের মো রাশেদুল ইসলাম এবং মৎস্য অনুষদের মো আশিক বিল্লাহ মেসবাহ।
এছাড়াও বাকৃবি থেকে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন : মো তামিম মাহমুদ আকাশ, মিনহাজুল হক ভূঁইয়া এবং মো ফিশাল হাসনাত নুহাশ।