বাকৃবিতে বগুড়া জেলা সমিতির উদ্যোগে নবীনবরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বৃহত্তর বগুড়া জেলা সমিতির উদ্যোগে নবীনবরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান এবং শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির উদ্দেশ্যে এ আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–শিক্ষক কমপ্লেক্সের মিনি কনফারেন্স হলে এই আ‌য়োজন করা হয়।

এ সময় ১০০ জন নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ ও শিক্ষা কিট প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ওই জেলার চার গুণী শিক্ষককেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তারা হলেন সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এস. এম. গোলাম হাফিজ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আলিমুল ইসলাম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোছা. খাদিজা খাতুন এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসাইন।

বগুড়া জেলা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শরীফ আর. রাফির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক উসামা ইবন ওহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মর্তুজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. মো. আরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া অধ্যাপক ড. মোছা. মিনারা খাতুন, অধ্যাপক ড. মো. নেসার উদ্দিন, অধ্যাপক মোছা. খাদিজা খাতুন, অধ্যাপক ড. জি. এইচ. এম. সাগর, অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. মো. জোহরুল ইসলাম খোকন, অধ্যাপক ড. মাহবুব প্রতীক সিদ্দিকী এবং বাকৃবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ. এম. শোয়াইবসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নবীন শিক্ষার্থী সারিকা বলেন, “এটি এক অভূতপূর্ব উদ্যোগ। এই আয়োজনে আমরা শিক্ষক ও বড় ভাই–বোনদের কাছ থেকে সঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছি। আশা করি এসব নির্দেশনা মেনে চললে কোনো শিক্ষার্থী বিপথগামী হবে না। এ ছাড়া আমরা শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছি।”

অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, “বগুড়া একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এই অঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মেধাবী। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনার জন্যই এই আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বগুড়ার ঐতিহ্য তুলে ধরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দায়িত্ব।”

অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মর্তুজা বলেন, “এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ, যা শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে। আমরা সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য এই আয়োজন করেছি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করতে একসময় যেভাবে বৃত্তি ব্যবস্থা চালু ছিল, সেটি পুনরায় চালু করতে হবে। তোমাদের জন্য আমরা সর্বদা সহায়তা করতে প্রস্তুত।”