
বাকৃবি প্রতিনিধি: বর্তমান দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। দেশের প্রতি দুইজন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এ ছাড়া আত্মবিশ্বাসহীনতার কারণে আত্মহত্যার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২০ জন মানসিক রোগে ভুগছেন। প্রতিদিনই এই রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সে অনুযায়ী মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সংখ্যা বাড়ছে না।
আজ বুধবার ( ১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্র শিক্ষক কমপ্লেক্সের মিনি কনফারেন্স হলে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন চয়ন গো দাশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মো শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড মো আবদুল আলীমসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
চয়ন গো দাশ আরও বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যজনিত যেকোনো রোগই শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়। ফলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায় এবং একাডেমিক স্ট্রেসে ভুগতে থাকে। এই রোগের লক্ষণগুলো হলো সবসময় মন খারাপ থাকা, বিষণ্নতা, অল্পতেই রেগে যাওয়া এবং চরম হতাশায় ভুগতে থাকা। যা একসময় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে নিজের যত্ন নিতে হবে ও সচেতন হতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা করতে হবে, ভালো খাবার খেতে হবে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং আত্মতুষ্টিতে থাকতে হবে।
সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, আজ থেকে তিন বছর আগে বিমানযাত্রার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এমনকি হাঁটতেও পারছিলাম না। এক বন্ধুর পরামর্শে সিআরপি থেকে চিকিৎসা নিই। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠি। সিআরপির ফিজিওথেরাপির প্রতিটি সেবা অসাধারণ। তবে এই চিকিৎসায় আরও আধুনিকায়ন প্রয়োজন।
বাকৃবির ছাত্র-কল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যেই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তারা তা প্রকাশে অনিচ্ছুক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক কাউন্সেলিং সুবিধা আছে, কিন্তু লজ্জার কারণে তারা তা নিতে আগ্রহী নয়। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা করা হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে আমরা বদ্ধপরিকর।
























