ইসলামিক ডেস্ক: ইসলাম মানুষের চরিত্র গঠনে ধৈর্য, সহনশীলতা ও সংযমকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। রাগ বা বদমেজাজ এমন এক নৈতিক দুর্বলতা, যা শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কও নষ্ট করে দিতে পারে। কুরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা মুমিনের অন্যতম গুণ। মহান আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন—“যারা রাগকে সংযত রাখে এবং মানুষকে ক্ষমা করে দেয়, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।” (সূরা আলে ইমরান: ১৩৪)
রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন “বলবান সেই নয়, যে কুস্তিতে অন্যকে পরাস্ত করে। বরং সেই ব্যক্তি বলবান, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।” (বুখারি ও মুসলিম)
উলামায়ে কেরাম বলেন, রাগ শয়তানের প্ররোচনায় জন্ম নেয় এবং তা প্রায়ই অন্যায়, অপমান ও হিংসার দিকে নিয়ে যায়। তাই ইসলামে রাগ হলে সাথে সাথে "আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম" পড়া, অজু করা, অবস্থান পরিবর্তন করা (দাঁড়িয়ে থাকলে বসা, বসে থাকলে শোয়া) ইত্যাদি করাকে সুপারিশ করা হয়েছে।
ধর্মীয় শিক্ষাবিদরা মনে করিয়ে দেন, রাগ দমন শুধু আখিরাতের মুক্তি নয়, দুনিয়ার শান্তি ও সম্পর্কের মজবুত ভিত্তি তৈরি করে। রাগ দমনের ফলে মানুষ নৈতিকভাবে দৃঢ় হয় এবং সামাজিকভাবে সম্মানিত হয়।
রাগ এমন এক আগুন, যা প্রথমে নিজের অন্তরকে জ্বালায়, পরে তা চারপাশকে গ্রাস করে। তাই ইসলামিক নির্দেশনা অনুযায়ী রাগ দমন ও সংযমই প্রকৃত মুমিনের পরিচয়। মহান রব আমাদের জীবনে চলার পথে সকলকে সংযমের সাথে চলার তৌফিক দিন।-আমিন