হালাল পথে ধন-সম্পদ অর্জনেই মুক্তি: আল-কুরআনের সতর্কবার্তা

ইসলামিক নিউজ ডেস্ক:দুনিয়ার ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কিংবা সামাজিক মর্যাদা কিয়ামতের দিন কাউকে রক্ষা করতে পারবে না, যদি তা অবিশ্বাস, অন্যায় ও হারাম পথে অর্জিত হয়। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অটল—সেদিন প্রত্যেককে তার কর্মফল অনুযায়ী হিসাব দিতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, “হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আপনি মানুষকে সমবেত করবেন এমন একদিন যাতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। নিশ্চয়ই যারা অবিশ্বাস করে আল্লাহর বিরুদ্ধে, তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন কাজে আসবে না। আর তারা হবে আগুনের ইন্ধন।” (সূরা আল ইমরান: ৯-১০)

হালাল উপার্জনের গুরুত্ব: সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেককে হালাল পথে ধন-সম্পদ অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে। হারাম আয়ের মাধ্যমে গড়ে ওঠা পরিবার ও সমাজ কখনো স্থায়ী কল্যাণ লাভ করতে পারে না। সচেতন নাগরিক গঠন: রাষ্ট্রের উন্নয়ন নির্ভর করে সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও আল্লাহভীরু নাগরিকদের উপর। তাই প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে যে, অবৈধ উপার্জন শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রিক ধ্বংস ডেকে আনে।

মনে রাখা দরকার দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। প্রকৃত সাফল্য হলো আখিরাতে মুক্তি লাভ। এজন্য প্রয়োজন সৎকর্ম, হালাল উপার্জন এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস।

কুরআনের এই আয়াত আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তখনই কল্যাণকর হবে, যখন তা হালাল পথে অর্জিত ও আল্লাহর পথে ব্যয়িত হয়। অন্যথায় এগুলো কিয়ামতের দিন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষকে হালাল উপার্জনে উদ্বুদ্ধ হওয়া এবং হারাম থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হালাল পথে চলার তাওফিক দান করুন।-আমিন