“পাপাচার ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে মহান আল্লাহর সতর্কবাণী স্মরণে রাখুন”

ইসলামিক ডেস্ক: পবিত্র আল-কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন সূরা আল-কাহাফের ১০৫ নম্বর আয়াতে স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন— “তারাই সেইসব লোক, যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ ও আখিরাতের সাক্ষাৎকে অস্বীকার করেছে। ফলে তাদের সব কর্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে, এবং কিয়ামতের দিন তাদের জন্য কোনো ওজন বা গুরুত্ব থাকবে না।” আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, জাহান্নামই হবে তাদের প্রতিদান, কারণ তারা কুফরি করেছে এবং আল্লাহর আয়াত ও তাঁর রাসূলগণকে উপহাসের বস্তু বানিয়েছে।

এই আয়াত আমাদের স্পষ্ট শিক্ষা দেয় যে, বাহ্যিকভাবে নামাজ, রোযা, দান-খয়রাত করলেও যদি মানুষ ঘুষ, দুর্নীতি, অন্যায়, জুলুম, অন্যের হক নষ্ট করা ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত না থাকে, তাহলে তার সব নেক কাজই ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। আল্লাহ তাআলা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে এসব অন্যায় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর ভয়াবহ পরিণতির কথা সতর্কভাবে উল্লেখ করেছেন।

বর্তমান সমাজে বিশ্বজুড়ে অন্যায়, দুর্নীতি, ঘুষ ও পাপাচার ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ একজন প্রকৃত মুমিন কখনো এসব কাজে জড়াতে পারে না। একজন মুসলমানের উচিত নিজে এসব কাজ থেকে বিরত থাকা এবং অন্যদেরও সতর্ক করা যেন তারা তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।

নিশ্চয়ই আল্লাহ অসীম দয়াময় ও পরম ক্ষমাশীল। যিনি আন্তরিকভাবে নিজের ভুল স্বীকার করে তওবা করে পাপের পথ থেকে ফিরে আসে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন। তাই এখনই সময়, আমরা সবাই মিলে দুর্নীতি, ঘুষ, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পাপমুক্ত জীবন গড়ে তুলি এবং তওবা করে তাঁর দয়া ও ক্ষমা অর্জনের চেষ্টা করি।-আমিন