
ইসলামিক ডেস্ক: পবিত্র আল-কুরআনের আশ-শূআরা সূরার ২০১–২০৭ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন যে, সত্য অস্বীকারকারীরা প্রায়ই নসিহত গ্রহণ করে না; কিন্তু যখন আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি আকস্মিকভাবে সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন তাদের পূর্বের ভোগবিলাস বা উদাসীনতা কোনো উপকারে আসে না। এই আয়াতগুলো আজকের সমাজেও বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা, শিরক-বিদআত ও ভুল ধরনের ধর্মীয় বক্তব্য প্রচারের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কিছু বাউল বা লোকশিল্পীর নামে ধর্মীয় বিকৃতি ছড়ানোর ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সাম্প্রতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এক বাউল যার বিরুদ্ধে সরকারিভাবে ধর্মীয় অবমাননার মামলা হয়েছে। সাধারণ মানুষও আইনি কাঠামোর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে ধর্মীয় অনুভূতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং সমাজে অশান্তি সৃষ্টি না হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, কোরআন-সুন্নাহ থেকে বিচ্যুতি এবং ধর্মের নামে ইচ্ছেমতো ব্যাখ্যা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অন্যতম কারণ। আলেম-ওলামারা বলছেন সঠিক ইসলামী জ্ঞান ও নৈতিকতার বিকাশ ছাড়া এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধ করা কঠিন।
সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আইনের প্রতি আস্থা এবং ধর্মীয় সংবেদনশীলতার প্রতি সম্মান অপরিহার্য। সত্যিকারের ঈমানদার সে-ই, যে কোরআনের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে, শিরক ও বিদআত থেকে দূরে থাকে এবং আমল-আখলাকের মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত রূপকে ধারণ করে।
ইসলামিক স্কলাররা বলেন. ভুল ব্যাখ্যা, অজ্ঞতা ও উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। কোরআনের সতর্কবানী আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়: সত্য থেকে বিচ্যুতি কখনোই কল্যাণ বয়ে আনে না। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার তাওফিক দিন।-আমিন
























