রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর উদ্যোগে অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী সেন্ট্রাল এর আয়োজনে এবং বেটার নেচার এন্ড সোসাইটির সহযোগিতায় সমাজের পিছিয়ে পড়া এবং অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর মাঝে আজ ২৪ শে মার্চ বিকেল ৪.০০ (চার) টায় শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে উন্নত মানের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় ।

অনুষ্ঠানে রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট শিউলি হাসান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেটার নেচার এন্ড সোসাইটির চেয়ারম্যান রোটারিয়ান হাসিবুল হাসান নান্নু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ গোলাম মাওলা এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রোটারিয়ান মো. শরিফুল হক ও রোটারি ক্লাব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ডঃ মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ।

মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর ডিরেক্টর এডমিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডীন প্রফেসর ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, কল্পনা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ সোহেল ।

কল্পনা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সদস্যভুক্ত প্রায় ২০ জন পিছিয়ে পড়া অটিস্টিকসহ শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের অর্ডার লি কর্মচারী মিলে সর্বোমোট ২৫জনের মাঝে ঈদের সামগ্রী বিতরণ করা হয় ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আমরা যাদের সমর্থ্য আছে তারা যদি প্রত্যেকেই আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই তবে সকলেই আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা সম্ভব হবে।

বিশেষ অতিথি ডঃ মাওলা বলেন, শুধু নিজের ভালোর কথা চিন্তা করলেই হবে না সমাজের আশেপাশের সকলকে নিয়েই ভালো থাকলেই আমাদের ভালো থাকা হবে। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ার হক বলেন, আমাদেরকে প্রত্যেককেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যানে এগিয়ে আসার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। তবেই সকলে এক কাতারে এসে সমাজের উন্নয়ন করতে পারবে।

ক্লাব প্রেসিডেন্ট ড. হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ঈদ এমন একটি উৎসব যেদিন ধনী-গরীব, সাদা-কাল, উঁচু-নিচু কোন ভেদাভেদ থাকে না। কাজেই সকলকে এক কাতারে আনার জন্য আমরা যারা বিত্তবান, সমর্থ্য আছে তাদের দানের নয়, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশেরই প্রাপ্য তাদের কাছে তুলে দেওয়ার এই এক প্রয়াস। যদিও সামান্য আমরা আশা করি আমাদের দেখে অন্যান্য বিত্তবানরাও এগিয়ে আসবেন । প্রোগ্রাম চেয়ার বলেন আমি যেমন একজন নারী হয়ে এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরেছি, তেমন সমাজের অর্ধেক অংশ নারীর প্রতি আহ্বান তারাও যেন পুরুষের পাশে এসে তাদেরকে সহযোগিতা করে একটি সমতা, মঙ্গল যুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারি।