ইসলামিক ডেস্ক: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, রোজার লক্ষ্য হলো পরিশুদ্ধ জীবন গঠন করা। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমাদেরকে পরিশুদ্ধ জীবন গড়তে হবে। আজ দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে মিথ্যা, সুূদ, ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি প্রভৃতি ত্যাগ করতে না পারলে রোজা রেখে লাভ নেই। রোজা রেখে ওজনে কম দেওয়া, মজুমদারির মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা- এগুলো রোজার অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের পরিপন্থী। তিনি রোজা পালনের মাধ্যমে চরিত্র সংশোধন, নৈতিকতার উজ্জীবন ঘটানো ও সুকুমার বৃত্তি জাগ্রত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রমজানের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে রোজা রাখতে হবে। এর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়া যাবে। রমজান মাসে ভোগ, বিলাস, কামনা, বাসনা ও দিনের বেলা পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের রিপুকে ত্যাগের আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি বানাতে হবে।
রমজানকে অফুরন্ত রহমতের বার্তা উল্লেখ করে ড. খালিদ বলেন, এটাই হতে পারে আমাদের শেষ রমজান। একবার পৃথিবী হতে চলে গেলে ফিরে আসার কোনই সুযোগ নেই। সেকারণে এই রমজান মাসের সমস্ত রহমত আমাদেরকে অর্জন করতে হবে। সৎ জীবনযাপন করতে হবে। দেশের সম্পদ আত্মসাৎ করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে।
রমজানকে কোরআন নাজিলের মাস উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তিনি এমাসে বিশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত, কোরআনকে বুঝা, কোরআনে বর্ণিত আদেশ-নিষেধকে মেনে চলা ও কোরআন চর্চার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সম্পৃক্ত থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া, এমাসে অভাবগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
ব্যবসাকে 'ইবাদত' অভিহিত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশে রমজান মাসে পণ্যের মূল্যের ওপর ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য দ্রুত গতিতে বেড়ে যায়। তিনি রমজানের পবিত্রতার প্রতি লক্ষ্য রেখে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।