ইসলামিক ডেস্ক: দেখতে দেখতে ত্যাগের মহিমা নিয়ে আবারও কোরবানির ঈদ চলে এলো। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় এই উৎসবটি । যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালিত হয়ে থাকে। ঈদুল আযহার অন্যতম একটি আনুষ্ঠানিকতা হলো পছন্দের পশুকে কোরবানি করা। মুসলিমদের এই উৎসবে সামর্থ্যবানরা পছন্দমতো পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর কাছে তার তাকওয়া প্রদর্শন করে।
কোরবানি ঈদ অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। পরিভাষায় কোরবানি ঈদ হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভ। কোরবানি হলো ইসলামের মহান নিদর্শন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কোরবানির উট (ও গরু)-কে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন করেছি। তাতে রয়েছে তোমাদের জন্য কল্যাণ। সুতরাং যখন তা সারিবদ্ধ অবস্থায় দাঁড়ানো থাকে, তাদের জবাই করার সময় তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। তারপর যখন (জবাই শেষে) তা কাৎ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, তখন তার গোশত নিজেরাও খাও এবং ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকেও খাওয়াও এবং তাকেও, যে নিজ অভাব প্রকাশ করে। এভাবেই আমি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি, যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ (সুরা হজ : ৩৬)।
কোরবানির রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা হজ : ৩৭)।
আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে তার তাকওয়া প্রদর্শন করি এবং ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক কোরবানি করি। নিশ্চয়ই রাব্বুল আলামিন অসীম দয়ালু ও ক্ষমাশীল।-আমিন