ইসলামিক ডেস্ক: আগামী শনিবার (৭ জুন) দেশে উদ্যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু কেনাবেচা এখন তুঙ্গে। গরুর বাজারে অনেকেই আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ভাগে কোরবানি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যদিও ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে একাই কোরবানি দেওয়াকে উত্তম বলে বিবেচনা করা হয়।
প্রখ্যাত আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহ মনে করিয়ে দেন, “একাধিক ব্যক্তি একই পশুতে কোরবানি দিলে বণ্টন ঠিকমতো হয়েছে কি-না, কারও মনে কষ্ট রইল কি-না এ ধরনের নানা প্রশ্ন উঠে আসে। এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে একা কোরবানি দেওয়াই ভালো।”
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একটি গরু, মহিষ বা উটে সর্বোচ্চ সাত ভাগে কোরবানি করা জায়েজ; এক ভাগ দু’জন মিলে নেওয়া বৈধ নয়। ছাগলের ক্ষেত্রে ভাগের বিধান নেই একাই কোরবানি দিতে হয়, ফলে গরুর এক ভাগের মূল্যেই অনেক ক্ষেত্রে একটি ছাগল কেনা সম্ভব।
গোশতের বণ্টন নিয়েও শরিয়ত রেখেছে সাবধানতার নির্দেশনা। ঠিক যত ভাগ, ততটাই সমান অংশে বণ্টন করতে হবে। অনুমানে ভাগ করা জায়েজ হলেও, কারও মনে অস্বস্তি থাকলে নিরাপদ পদ্ধতি হলো পাল্লায় ওজন করে কিংবা পাত্রে মেপে সমানাভাবে ভাগ করা।
কোরবানি উপলক্ষে তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সামর্থ্য থাকলে একক কোরবানির পথ বেছে নিতে এতে যেমন ইবাদতে একনিষ্ঠতা থাকে, তেমনি বিভ্রান্তি ও মনোকষ্টের সম্ভাবনাও থাকে না। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের কোরবানিকে কবুল করুন-আমিন