মাশরুম চাষে আগ্রহ বাড়াতে খুলনার ফুলতলায় মাঠ দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: মাশরুম চাষের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসে গুরুত্ব দিতে হবে এমন আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম।

রবিবার (১ জুন) বিকেলে খুলনার ফুলতলা উপজেলার মশিয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে "মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প" এর আওতায় আয়োজিত মাঠ দিবস ও আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সাধারণ মানুষকে মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে প্রশিক্ষণ ও স্পন সরবরাহ করে আসা হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনও মাশরুমের আবাদ আশানুরূপভাবে বাড়েনি। এর মূল কারণ, সাধারণ মানুষ এখনো মাশরুমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন নয়। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তত ২০ গ্রাম মাশরুম থাকা উচিত। এই বিষয়ে জনগণকে ব্যাপকভাবে সচেতন করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “মাশরুম শুধুমাত্র একটি খাবার নয়, এটি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ঔষধিগুণসম্পন্ন ছত্রাক, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।”

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কৃষিবিদ আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম, খামারবাড়ি ঢাকার অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং) কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দিন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস এবং ক্রিসেন্ট জুট মিলসের মহাব্যবস্থাপক কৃষিবিদ খান মোঃ কামরুল ইসলাম।

সভায় ফুলতলা উপজেলায় মাশরুম চাষের বর্তমান অবস্থা, চাষাবাদ পদ্ধতি এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। দৌলতপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ সঞ্জয় দাশ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন। মাঠ দিবসে স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ ও কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম এবং পরিচালনা করেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মোঃ আব্দুস সামাদ।