নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে নারিকেলের সাদামাছি দমন বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রহমতপুরে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের নারিকেল বাগানে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) কীটতত্ত¡ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত। বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএআরআইর কীটতত্ত¡ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কোহিনুর বেগম এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এটিএম হাসানুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কফিল উদ্দিন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আনওয়ারুল মোনিম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম রাকিবুল হাসান ফেরদৌস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাজি উদ্দিন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ। বিএআরআইর কীটতত্ত্ব বিভাগ এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই মাঠ দিবসে ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এক বিশেষ ধরনের সাদামাছির আক্রমণে নারিকেলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এরা গাছের পাতা রস চুষে খায়। পরে মধুর মতো রস নিঃসরণ করে। ফলে সেখানে কালো রঙের শুটিমোল্ড ছত্রাক জন্মায়। এমন অবস্থা দেখা দিতে জৈব বালাইনাশক ফিজিমাইট অথবা বায়োক্লিন প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হিসেবে মিশিয়ে পুরো পাতায় ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। পরে তুন্দ্রা ২০ এসপি প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া শুটিমোল্ড হলে অটোস্টিন ৫০ ডব্লিডিজি ২ গ্রাম ছত্রাকনাশক ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্তস্থানে স্প্রে করতে হবে। তাহলে সাদামাছির আক্রমণ হতে নারিকেল গাছকে রক্ষা করা সম্ভব।