বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রোভার স্কাউট গ্রুপের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী " অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পও আদিবাসী জীবনধারা পর্যবেক্ষণ" শীর্ষক একটি বিশেষ আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। গত ৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত এই ক্যাম্পে রোভাররা শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ একটি সময় কাটিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল আলম।
৫ ডিসেম্বর রাতে বাকৃবি ক্যাম্পাস থেকে ৫০ জন রোভার ও গার্ল-ইন-রোভার সদস্য মৌলভীবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ রোভার স্কাউট লিডার অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল আলম এবং সহযোগী অধ্যাপক টুম্পা রানি সরকার।
ক্যাম্পের প্রথম দিনে রোভাররা বাংলাদেশ চা গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিটিআরআই) পরিদর্শন করেন। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এবং বাকৃবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. মো. ইসমাইল হোসেন তাদের স্বাগত জানান। তিনি চা উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেন এবং একটি চা কারখানা ঘুরিয়ে দেখান।
পরে, রোভাররা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যান। সেখানে তারা আদিবাসীদের জীবনধারা, আর্থসামাজিক অবস্থা এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা লাভ করেন। এই অভিজ্ঞতা তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং সামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি এনে দেয়।
দ্বিতীয় দিনে হীড বাংলাদেশের অতিথিশালায় মধ্যাহ্নভোজ এবং বিশ্রামের পর রোভাররা মাধবপুর লেক পরিদর্শনে যান। লেক সংলগ্ন চা বাগান ও পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য তাদের মুগ্ধ করে। দিনশেষে হীড বাংলাদেশের সেমিনার কক্ষে একটি বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বাকৃবি রোভার স্কাউট গ্রুপের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
শেষ দিনের অভিযানে ১২ জন সহচরকে বিশেষ দলীয় বৈঠকের মাধ্যমে দীক্ষা দেওয়া হয়। এরপর রোভাররা দার্জিলিং টিলায় যান। আঁকাবাঁকা রাস্তা পেরিয়ে টিলার চূড়ায় ওঠার পর তারা চা বাগানের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করেন এবং দলীয় ছবি তোলেন।
তিন দিনের এই অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প রোভারদের নেতৃত্ব, দলগত দক্ষতা এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অনুষ্ঠানের শেষে রোভাররা ক্যাম্পাসে ফিরে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ অভিযানে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।