বাকৃবি প্রতিনিধি: "প্রশিক্ষণ কর্মজীবনকে আরও গতিশীল করবে। মনে রাখতে হবে, শেখার কোনো বয়স নেই। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে ব্যক্তিজীবন ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে।" "আমাদের 'আজ সময় নেই, কাল আসবেন' এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অফিস ছুটির এক মিনিট আগেও সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।"
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ২৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা বলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতন না হলে আমাদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণ আয়োজন সম্ভব হতো না।
কর্মকর্তার আরও জানান, “জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব মেনে নেওয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা অবহেলিত ছিলাম। যদি আগেই এমন প্রশিক্ষণ পেতাম, তবে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারতাম। যা হোক বর্তমানে অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে নৈতিকতার সঙ্গে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব।”
জিটিআই পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দীন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, বাকৃবি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আইকিউএসি পরিচালক এবং সিনিয়র কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবীব।
গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ২৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে মোট ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।