বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০২৫ সালের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনের পর দেশে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ স্বাভাবিক হলে পরবর্তী কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। এর আগ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারের স্বাক্ষরিত তৃতীয় জরুরি সভায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। ওই সভায় ১০৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. রফিকুল ইসলাম সরদার।
সভায় ১৩২ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি দরখাস্ত উপস্থাপন করা হয়। এতে গত ৪ আগস্ট ক্যাম্পাসে শান্তি মিছিলকারী, গণহত্যা সমর্থনকারী এবং ফ্যাসিবাদী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা ছিল শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আয়োজন। পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন এবং বর্তমান কমিটিকে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব করেন। তার প্রস্তাবের ওপর দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সম্মতি প্রদান করেন। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন না করে বর্তমান কমিটিকে দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ বিষয়ে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, “শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। শিক্ষক সমাজের স্বার্থ রক্ষায় আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব।”