বাকৃবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বাকৃবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান ও সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও। তারা ‘সাম্যের রক্ত বৃথা যেতে পারে না’, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ চাই’—এই ধরনের প্রতিবাদী স্লোগানে সাম্যের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কর্মসূচিতে বাকৃবি ছাত্রদল তিন দফা দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল, শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ এবং দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সাম্য হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন এবং ভিন্নমতের ছাত্রনেতাদের নিশ্চিহ্ন করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তাদের মতে, সাম্য ছিলেন একজন মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল ছাত্রনেতা, যাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাকৃবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, “শাহরিয়ার আলম সাম্য ছিল ছাত্ররাজনীতির একজন সাহসী, মেধাবী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তাকে হত্যা করে শুধু একজন ছাত্রনেতাকে নয়, একটি প্রজন্মের স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। আজ আমরা অবস্থান নিয়েছি প্রশাসনিক ভবনের সামনে, কিন্তু আমাদের অবস্থান কেবল এই ভবনের সামনে নয়—আমরা অবস্থান নিয়েছি দেশের সব সচেতন ছাত্র-জনতার হৃদয়ে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, সাম্য হত্যার দায় ঢাবির ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারেন না। তাদের পদত্যাগ এখন সময়ের দাবি। আমরা চাই না আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক, আর কোনো ভাই নিথর হয়ে পড়ে থাকুক প্রিয় ক্যাম্পাসে। যদি আমাদের দাবি উপেক্ষিত হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।