বাকৃবি প্রতিনিধি: প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। অর্ধদিবস পর্যন্ত বন্ধ ছিলো সকল ক্লাস ও পরীক্ষা (সেমিস্টার ফাইনাল ব্যতীত)। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের করিডোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তানভীর রহমানের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম বাতিলের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এবং সুপারগ্রেড অন্তর্ভুক্তিকরণেরও দাবি জানান শিক্ষকবৃন্দ । এসময় তাঁরা বলেন, 'শিক্ষকদের হাত ধরেই জাতির উন্নতি। সেই শিক্ষকদের সম্মান ক্ষুন্ন করতে কিছু কুচক্রী মহল এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি জাতির চরম নীতিগত অবনমনকেই নির্দেশ করে।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের সর্বদা সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গায় রেখেছেন। সেখানে বর্তমানে শিক্ষকদের সাথে এই আচরণ একেবারেই কাম্য নয়। আমরা আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে পিছপা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন নয়। আমাদের শিক্ষকদের সম্মান বজায় রাখার জন্য এই আন্দোলন। দেশের মেধাবীদের ধরে রাখতে হলে সরকারকে এই বিষয়টির দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।'
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, 'আন্দোলন এখন চরম পর্যায়ে আছে। আমরা আন্দোলন থেকে কিছুতেই পিছপা হবো না। আগামী ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরেও দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে। ক্লাস-পরীক্ষা কিছুই হবে না। লাইব্রেরি এবং ল্যাবরেটরি খোলা হবে না। এমনকি কোনো হল প্রভোস্টও হলে যাবেন না। আমাদের এই আন্দোলন আসলে শিক্ষার্থীদের জন্যই। আগামী দিনে যেসব শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হবেন তাঁদের যথাযথ সম্মান বজায় রাখার জন্যই আমাদের এই এগিয়ে আসা।'