২য় দিনের মতো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্নক কর্মবিরতি

সিকৃবি প্রতিনিধি: সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম'এর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতির মোর্চা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ০২ জুলাই মঙ্গলবার ২য় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

কর্ম বিরতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি পালন অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালার প্রজ্ঞাপন হতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অন্তর্ভুক্তি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আফরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অফিসার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোঃ শরীফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সম্মুখে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রত্যয় স্কিমকে বৈষম্যমূলক দাবি করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন সরকারি ক্যাডারদের জন্য 'সেবক' এবং আমাদের জন্য আলাদা করে 'প্রত্যয়' স্কিম চালুর মাধ্যমে একটি বৈষম্যের সূচনা হচ্ছে। দেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে, মেডিকেল থেকে এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে একজন শিক্ষার্থী এডমিন, পুলিশ ক্যাডার হচ্ছে। কেন হচ্ছে? একই পর্যায়ের সকল সরকারি চাকরিজীবীদের সমান সুযোগ না দেওয়ায় এমনটি হচ্ছে। প্রত্যয় স্কিম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের ওপর কার্যকর হলেও শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই এর প্রতিবাদ করছেন। কেননা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই হলেন জাতির বিবেক।

তিনি আরও বলেন এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের জন্যেই। ভবিষ্যতে তারাই শিক্ষক হবেন। অনেক ধরনের অপপ্রচার চলছে এ আন্দোলন নিয়ে। বলা হচ্ছে-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এ আন্দোলন। মূলত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্যেই এ আন্দোলন করছে। প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের শিক্ষকদেরই মূলত জিন্মি করা হচ্ছে।

অফিসার পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়া বলেন বৈষম্যমূলক এই পেনশন স্কীম জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি হুশিয়ারি দেন, এই স্কীম প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।