সিকৃবি প্রতিনিধি: এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ন্তভুক্তি বাতিলের দাবিতে অন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, প্রশাসনিক কার্যক্রম ও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় ফুঁসে উঠেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ০৯ জুলাই মঙ্গলবার ৯ম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি পালন অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আফরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অফিসার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অপর দিকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোঃ শরীফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশ^বিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি,এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মুখে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমরা করুণা চাচ্ছি না, শিক্ষক নেতারা মনে করেন, ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহার আন্দোলন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আত্মমর্যাদার লড়াই। তাই যেকোনো মূল্যে শিক্ষকরা দাবি আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবেন। আমাদের মূল দাবি হলো উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন। পৃথিবীর সকল দেশে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একমাত্র বাংলাদেশে শিক্ষকরা এ বিষয়ে চরম অবহেলিত। আমাদের কোনো স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নেই। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নিম্নতর বেতন স্কেল বাংলাদেশের শিক্ষকদের। সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয় চালু করার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ লাগাতার আন্দোলন করছেন।
অফিসার পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়া বলেন প্রত্যয় স্কিমে অর্ন্তভুক্তি বাতিলের দাবিতে প্রথমে তাঁরা সভা-সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ করেছেন। আংশিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ৭ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে আছেন। ক্যাম্পাসে তাঁরা সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। কর্মকর্তাদের দাবি, প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।